
চট্টগ্রাম ব্যুরো

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেতনবৈষম্যের দাবিতে চট্টগ্রামেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে শহর ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। কোথাও কোথাও ক্লাস নিলেও পরে স্থগিত করে ছুটি দেয়া হয়। বার্ষিক পরীক্ষার আগ মুহূর্তে পাঠদান বন্ধ করে শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
তারা বলছেন, শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য হলে দ্রুত আলোচনা করে মেনে নেয়া দরকার। যেভাবেই হোক শিক্ষকদের পাঠদানে ফেরাতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস নামার পাশাপাশি বিদ্যালয় ও জেলার শিক্ষার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
রোববার সরেজমিন নগরীর বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা বাইরে ঘুরাঘুরি করছেন। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় মেতে আছেন। অভিভাবকরা দেশের নানা বিষয়ে কথা বলছেন। তাদের অনেককে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের স্কুল তো বন্ধ না, বাচ্চাদের গেট থেকে ফেরানো যায় না। কর্মবিরতি তো তারা বোঝে না, তাই ম্যানেজ করতে হচ্ছে।” তিনি জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইয়াজ জাবেদ ওয়াফি জানায়, সে ৪টা ক্লাস করেছে। তবে এরপর আর ক্লাস হয়নি। নগরের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতি বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। তবে কোন কোন স্কুলে দুয়েকটি ক্লাস হলেও বেলা বারোটার আগেই ছুটির ঘণ্টা বেজে ওঠে।
অভিভাবক রহিমা বানু বলেন, এভাবে কোনো না কোনো আন্দোলন চলছে দেশে। ড. ইউনূস সরকারের কাছে সবার সব আবদার। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতেও এগুলো প্রভাব ফেলবে। আমি মনে করি দাবি ন্যায্য হলে মেনে নেয়া দরকার। এভাবে শিক্ষা খাত চলতে পারে না।
আয়শা আক্তার নামে আরেকজন অভিভাবক জানান, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। এখন যদি শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্লাস বন্ধ থাকে তাহলে তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হবে? তারা কি এসব বুঝে। স্যাররা ক্লাসে না আসলে তারা এমনিতেই পড়তে চায় না।
জানা যায়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অভিযোগে করা আন্দোলন চলমান। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করে। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা নিজেদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আন্দোলনে নামেন।
এদিকে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পৌঁছালে আগামী ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তারা আরও জানিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তবে পরীক্ষা বর্জনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেতনবৈষম্যের দাবিতে চট্টগ্রামেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে শহর ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। কোথাও কোথাও ক্লাস নিলেও পরে স্থগিত করে ছুটি দেয়া হয়। বার্ষিক পরীক্ষার আগ মুহূর্তে পাঠদান বন্ধ করে শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
তারা বলছেন, শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য হলে দ্রুত আলোচনা করে মেনে নেয়া দরকার। যেভাবেই হোক শিক্ষকদের পাঠদানে ফেরাতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস নামার পাশাপাশি বিদ্যালয় ও জেলার শিক্ষার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
রোববার সরেজমিন নগরীর বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা বাইরে ঘুরাঘুরি করছেন। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় মেতে আছেন। অভিভাবকরা দেশের নানা বিষয়ে কথা বলছেন। তাদের অনেককে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের স্কুল তো বন্ধ না, বাচ্চাদের গেট থেকে ফেরানো যায় না। কর্মবিরতি তো তারা বোঝে না, তাই ম্যানেজ করতে হচ্ছে।” তিনি জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইয়াজ জাবেদ ওয়াফি জানায়, সে ৪টা ক্লাস করেছে। তবে এরপর আর ক্লাস হয়নি। নগরের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতি বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। তবে কোন কোন স্কুলে দুয়েকটি ক্লাস হলেও বেলা বারোটার আগেই ছুটির ঘণ্টা বেজে ওঠে।
অভিভাবক রহিমা বানু বলেন, এভাবে কোনো না কোনো আন্দোলন চলছে দেশে। ড. ইউনূস সরকারের কাছে সবার সব আবদার। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতেও এগুলো প্রভাব ফেলবে। আমি মনে করি দাবি ন্যায্য হলে মেনে নেয়া দরকার। এভাবে শিক্ষা খাত চলতে পারে না।
আয়শা আক্তার নামে আরেকজন অভিভাবক জানান, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। এখন যদি শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্লাস বন্ধ থাকে তাহলে তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হবে? তারা কি এসব বুঝে। স্যাররা ক্লাসে না আসলে তারা এমনিতেই পড়তে চায় না।
জানা যায়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অভিযোগে করা আন্দোলন চলমান। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করে। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা নিজেদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আন্দোলনে নামেন।
এদিকে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পৌঁছালে আগামী ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তারা আরও জানিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তবে পরীক্ষা বর্জনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে।

পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া সীমান্ত থেকে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে যাওয়া ৫ টি গরু ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গরুগুলো বাংলাদেশীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২ মিনিট আগে
জগন্নাথপুর উপজেলার ‘জনতার চেয়ারম্যান’ খ্যাত সৈয়দ তালহা আলম লাইভে যদি বিএনপির সাথে ১২ দলীয় জোটের সমঝোতা হয় তাহলে সুনামগঞ্জ-৩ আসনটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি করেন।
৫ মিনিট আগে
এ সময় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদীর চরাঞ্চলে একযোগে এ অভিযান চালানো হয়।
১১ মিনিট আগে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩২ মিনিট আগে