পটুয়াখালী-৩, দলীয় প্রার্থীর বাহিরে ভোট দিতে নারাজ বিএনপির কর্মীরা

গলাচিপা ও দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদীয়-১১৩ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করে ‘হোল্ড’ করায় হতাশ হয়ে পরেছে স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে,(দশমিনা-গলাচিপা) আসনটি বিএনপির সাথে গণ-অধিকার পরিষদের (জিওপি) জোটবদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আসনটি নুরুল হক নুরের জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। তবে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এখনো আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, পটুয়াখালী-৩ সংসদীয়-১১৩ আসনটি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠ গুছিয়ে রেখেছেন। এদিকে, বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর এ আসনটি খালি থাকার পরই স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় উঠিয়ে দেয়। এ অবস্থায় হাসান মামুন দলীয় নেতা কর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তার নিজস্ব ফেইসবুকের মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসান মামুন বলেন, আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী-আপনারা ধৈর্যধারণ ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন। যে কোনো পরিস্থিতিতে পটুয়াখালী-৩ এ বিএনপি দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করবে, ইনশাল্লাহ।” এতে দলীয় নেতা-কর্মীরা কিছুটা শান্ত থাকে।

সোমবার (০৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এ সময় ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে পটুয়াখালী-৩ ও পটুয়াখালী-২ আসন প্রার্থিতা ‘হোল্ড’ রাখা হয়েছে।

এদিকে স্থগিত আসনটিতে এরই মধ্যে বিকল্প প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জোট প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার গুঞ্জন তীব্র হয়ে উঠছে।

দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ-আলম শানু বলেন, আমরা (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপির যারাই আছি তারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আছি। যেহেতু আমাদের আসন সহ ৬৩ টি আসনে হোল্ট করে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবি দলীয় প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিতে চাই। দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর পর্যন্ত নির্যাতিত হয়েছি এবং জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। বিগত তিনটি নির্বাচনে আমরা দলীয় প্রার্থীকে ভাট দিতে পারি নাই। এ বছর আমরা হাসান মামুনের নেতৃত্বে ধানের শীষে ভোট দিতে চাই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাহিরে অন্য কোনো প্রার্থীকে আমরা ভোট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকেই আমাদের মধ্যে বেশকিছু দলের সাথে একটা বোঝাপড়া ছিল। তাই আমরা মনে করি গণঅভ্যুত্থান হলেও জাতীয় ঐক্য শেষ হয়নি। আগামীতে স্থিতিশীল রাষ্ট্র এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যে একটা রাষ্ট্র সংস্কারের যে একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরীকদের মধ্যে একটা ঐক্য এবং সংহতি দরকার। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান থেকে শুরু করে তারা গণ-অধিকার পরিষদকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চায়। এখন আমাদের একটা চ্যলেন্স হচ্ছে, ইতোমধ্যেই আমাদের তিনশ আসনের প্রার্থীদের সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত জায়গা গুলোতে নেতারা কাজ করেছে একটা অবস্থান তৈরি করেছে সে আসন গুলোতে একটা সমঝোতা না হলে জোটবদ্ধ হওয়া সম্ভব হবেনা। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

প্রাথমিকে ১০২১৯ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানানোর হিড়িক একই আসনের জামায়াতের প্রার্থীদের

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি

ফুলপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারী ও কর্মীদের যে বার্তা দিলেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত