
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে প্রায় এক লাখ মানুষ রয়েছে, যাদের বয়স ১০০ বা তার বেশি। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় এই দেশটিতে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা বেশি। এছাড়া জাপানে বার্ধক্যের বিপরীতে নিম্ন জন্মহারের কারণে কর্মক্ষম জনশক্তির অভাব রয়েছে দেশটিতে। তবে বুড়ো হলেও অদম্য প্রাণশক্তির অধিকারী জাপানি বৃদ্ধরা। শতবর্ষ পার করা অনেকেই এখনো কাজ করে চলছেন। কাজকেই তারা জীবনের মূল লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছেন। এমনই কয়েকজন মানুষের জীবন নিয়ে আজকের আয়োজন।
১০৩ বছর বয়সি সেইচি ইশি একজন সাইকেল মেকানিক। তিনি তার কাজকে খুবই ভালোবাসেন। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি তার কাজ শুরু করেন। এরপর ৯০ বছর ধরে তিনি এ কাজ করছেন। তার মতে, তিনি একজন কর্মজীবী মানুষ। বয়স হওয়ার পরও কাজ করে যাওয়াই হচ্ছে জীবন। সাইকেল মেরামত থেকে তার মাসিক আয় ৫০,০০০ ইয়েন বা প্রায় ৩৩০ ডলার। এত অল্প আয়েও নিজের কাজ নিয়ে সুখী তিনি।
সেইচি বলেন, ‘যদি আমি আমার ওয়ার্কশপে কাজ করতে করতে মারা যাই, তবেই আমি বেশি খুশি হব।’
রামেন বা জাপানের ঐতিহ্যবাহী নুডলস রান্নায় পারদর্শী ফুকু আমাকাওয়া। সপ্তাহের পাঁচ বা ছয় দিন ১০২ বছর বয়সি এই বৃদ্ধা তার ছেলেমেয়ের সঙ্গে পারিবারিক রামেন রেস্তোরাঁয় দুপুরের সময় কাজ করেন। লম্বা চপস্টিক দিয়ে তিনি গোশতের ঝোলে ডিমের নুডলস সাজিয়ে নেন। এছাড়া গরম স্যুপে ভরা বাটিতে কাটা পেঁয়াজ ছিটিয়ে দেন।

নুডলস রান্নার কাজ করতে করতেই তিনি বলেন, ‘আমি এখনো কাজ করতে পারছি, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপার। এটি আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো লাগার অনুভূতি দেয়। মূলত কাজের মাধ্যমেই মানুষের জীবন পরিবর্তিত হয়।’
১০১ বছর বয়সি মাসাফুমি মাতসুও একজন কৃষক। তিনি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করতে পছন্দ করেন। মাতসুও বিভিন্ন ঋতুতে বেগুন, শসা ও শিম চাষ করেন। এছাড়া পারিবারিক খামারে ধানের চাষও করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সুস্থ থাকার জন্য কাজ করি।’
টোমোকো হোরিনো ১০২ বছর বয়সেও তার কর্মক্ষমতাকে ধরে রেখেছেন। তিনি বিউটি কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মূলত নারীদের সৌন্দর্য-রূপচর্চা নিয়ে কাজ করেন। তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেকআপ ও সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য নিয়ে কাজ করেন। ৩৯ বছর বয়স থেকেই তিনি এ কাজ করছেন।
টোমোকো হোরিনো বলেন, ‘আমি যখন প্রথম মেকআপ ব্যবহার করি, তখন আমার খুব ভালো লাগছিল। নিজেকে খুব সুন্দর লাগছিল। আমি অন্যদেরও একই ধরনের অনুভূতি দিতে চাই। আমি অন্য মানুষের সৌন্দর্যবর্ধন করে আনন্দ পাই।’
১০১ বছর বয়সি তোমেয়ো ওনো কজন গল্পকথক। তার কাজ হচ্ছে গল্প বলা। এ বয়সেও তিনি নিখুঁত উচ্চারণে ষাঁড় ও বাচ্চা ভালুকের লোককাহিনি বলেন। তার গল্প বলার ভঙ্গি এত চমৎকার যে, শ্রোতারা খুব মনোযোগ সহকারে তা শোনেন। তার গল্প বলা শেষ হলে সবাই করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান। এ গল্প বলার মাধ্যমে তিনি নিজে আনন্দ পান এবং অন্যকেও আনন্দ দেন।
৭০ বছর বয়সের পর তিনি মজার ছলে এ গল্প বলার কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার গল্প বলার জন্য বেঁচে আছি। আমৃত্যু আমি এ কাজ করে যেতে চাই।’
সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে প্রায় এক লাখ মানুষ রয়েছে, যাদের বয়স ১০০ বা তার বেশি। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় এই দেশটিতে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা বেশি। এছাড়া জাপানে বার্ধক্যের বিপরীতে নিম্ন জন্মহারের কারণে কর্মক্ষম জনশক্তির অভাব রয়েছে দেশটিতে। তবে বুড়ো হলেও অদম্য প্রাণশক্তির অধিকারী জাপানি বৃদ্ধরা। শতবর্ষ পার করা অনেকেই এখনো কাজ করে চলছেন। কাজকেই তারা জীবনের মূল লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছেন। এমনই কয়েকজন মানুষের জীবন নিয়ে আজকের আয়োজন।
১০৩ বছর বয়সি সেইচি ইশি একজন সাইকেল মেকানিক। তিনি তার কাজকে খুবই ভালোবাসেন। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি তার কাজ শুরু করেন। এরপর ৯০ বছর ধরে তিনি এ কাজ করছেন। তার মতে, তিনি একজন কর্মজীবী মানুষ। বয়স হওয়ার পরও কাজ করে যাওয়াই হচ্ছে জীবন। সাইকেল মেরামত থেকে তার মাসিক আয় ৫০,০০০ ইয়েন বা প্রায় ৩৩০ ডলার। এত অল্প আয়েও নিজের কাজ নিয়ে সুখী তিনি।
সেইচি বলেন, ‘যদি আমি আমার ওয়ার্কশপে কাজ করতে করতে মারা যাই, তবেই আমি বেশি খুশি হব।’
রামেন বা জাপানের ঐতিহ্যবাহী নুডলস রান্নায় পারদর্শী ফুকু আমাকাওয়া। সপ্তাহের পাঁচ বা ছয় দিন ১০২ বছর বয়সি এই বৃদ্ধা তার ছেলেমেয়ের সঙ্গে পারিবারিক রামেন রেস্তোরাঁয় দুপুরের সময় কাজ করেন। লম্বা চপস্টিক দিয়ে তিনি গোশতের ঝোলে ডিমের নুডলস সাজিয়ে নেন। এছাড়া গরম স্যুপে ভরা বাটিতে কাটা পেঁয়াজ ছিটিয়ে দেন।

নুডলস রান্নার কাজ করতে করতেই তিনি বলেন, ‘আমি এখনো কাজ করতে পারছি, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপার। এটি আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো লাগার অনুভূতি দেয়। মূলত কাজের মাধ্যমেই মানুষের জীবন পরিবর্তিত হয়।’
১০১ বছর বয়সি মাসাফুমি মাতসুও একজন কৃষক। তিনি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করতে পছন্দ করেন। মাতসুও বিভিন্ন ঋতুতে বেগুন, শসা ও শিম চাষ করেন। এছাড়া পারিবারিক খামারে ধানের চাষও করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সুস্থ থাকার জন্য কাজ করি।’
টোমোকো হোরিনো ১০২ বছর বয়সেও তার কর্মক্ষমতাকে ধরে রেখেছেন। তিনি বিউটি কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মূলত নারীদের সৌন্দর্য-রূপচর্চা নিয়ে কাজ করেন। তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেকআপ ও সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য নিয়ে কাজ করেন। ৩৯ বছর বয়স থেকেই তিনি এ কাজ করছেন।
টোমোকো হোরিনো বলেন, ‘আমি যখন প্রথম মেকআপ ব্যবহার করি, তখন আমার খুব ভালো লাগছিল। নিজেকে খুব সুন্দর লাগছিল। আমি অন্যদেরও একই ধরনের অনুভূতি দিতে চাই। আমি অন্য মানুষের সৌন্দর্যবর্ধন করে আনন্দ পাই।’
১০১ বছর বয়সি তোমেয়ো ওনো কজন গল্পকথক। তার কাজ হচ্ছে গল্প বলা। এ বয়সেও তিনি নিখুঁত উচ্চারণে ষাঁড় ও বাচ্চা ভালুকের লোককাহিনি বলেন। তার গল্প বলার ভঙ্গি এত চমৎকার যে, শ্রোতারা খুব মনোযোগ সহকারে তা শোনেন। তার গল্প বলা শেষ হলে সবাই করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান। এ গল্প বলার মাধ্যমে তিনি নিজে আনন্দ পান এবং অন্যকেও আনন্দ দেন।
৭০ বছর বয়সের পর তিনি মজার ছলে এ গল্প বলার কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার গল্প বলার জন্য বেঁচে আছি। আমৃত্যু আমি এ কাজ করে যেতে চাই।’
সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে আবারো প্রকাশ্যে রক্ত ঝরলো। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানার চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ের শাপলা আবাসিক এলাকার সামনে মো. আকবর (৩০) নামে এক স্থানীয় কাঁচাপণ্যের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২৮ মিনিট আগে
ছয় মাস প্রেমের পর দেড় মাস আগে বিয়ে করেন মেয়েটিকে। সংসার শুরু করেছিলেন নতুন করে। ভালো মানুষ হয়ে, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে। কিন্তু সেই পথ শেষ হলো হঠাৎই! গত ৫ নভেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে নিথর হয়ে গেলেন বাবলা।
১ ঘণ্টা আগে
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের মতামতকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ভুল জায়গায় এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এই কাজী সালাউদ্দিন রাজনৈতিক জীবনে কখনো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়নি, এমনকি জেল ও খাটেনি। কেন্দ্রের চাপিয়ে দেওয়া এই কাজী সালাউদ্দিন ফ্যাসিস্ট
২ ঘণ্টা আগে
নোটিসে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ২০২৪-২৫ উৎপাদন বর্ষের বোরো ধানবীজ সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রয়োজনীয় বস্তা না থাকায় কেন্দ্রের বীজ সংগ্রহ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে