গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালে ট্রাফিক পুলিশ, নেপথ্যে কী

উপজেলা প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ০২

চট্টগ্রামের পটিয়ায় সেবা নিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা রূপ নেয় মারামারিতে।

১০ নভেম্বর সোমবার সকালে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনাটি ঘটে। এতে মারামারিতে আবদুল মান্নান নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছে। তিনি পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের এ টিএসআই হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতাল ভর্তি হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত (মিটার রিডার) মো. ফজলুল হক তার স্ত্রীকে নিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যায়। একই সময়ে চিকিৎসার জন্য যায় পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের এ টিএসআই আবদুল মান্নান। এ সময় মিটার রিডার ফজলুল হক লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রাফিকের এ টিএসআই আবদুল মান্নান লাইনের আগে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ ওই মিটার রিডারকে মারধর শুরু করলে সেবা নিতে আসা অন্য রোগীরা ট্রাফিক পুলিশকেও মারধর শুরু করে। এতে ওই ট্রাফিক পুলিশ ও মিটার রিডার দু’জনই আহত হন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অন্যান্য রোগীদের সেবা প্রদান কিছু সময় ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে। পরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন হসপিটালে ভর্তি করা হয়।

ট্রাফিক পুলিশের মারধরের শিকার ফজলুল হক জানান, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য যান। কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিতভাবে স্ত্রীর সামনে তাকে ট্রাফিক পুলিশ বেদম মারধর করলে তিনি আহত হন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ওয়াটকিও ছিল।

তবে ট্রাফিক পুলিশের এ টিএসআই আবদুল মান্নান হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু তৈয়ব আমার দেশকে বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে তা সমাধান হয়ে গেছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত