মতলবে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-ভাঙচুর

উপজেলা প্রতিনিধি, মতলব উত্তর (চাঁদপুর)
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ১২

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের কলেজ সুজাতপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী কলেজ সুজাতপুর গ্রামের মৃত ফয়েজবক্স প্রধানের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন প্রধান সাংবাদিকদের জানান, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ৮৮৫ দাগে প্রায় ১ একর ৫০ শতক জমি রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে আমরা এই জমিতেই বসবাস করছি। হঠাৎ করে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম গং প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে বেকু মেশিন এনে তাণ্ডব চালায়। তারা আমাদের একটি পাকাঘর, একটি গরুঘর, একটি পাকা ও একটি টিনসেড টয়লেট ভেঙে ফেলে। বাড়ির সামনের দেয়ালও ভেঙে দেয়। এমনকি একটি বিশাল বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে।

এ সময় জসিম উদ্দিন প্রধানের পরিবার ও ছোট ছোট শিশুরা ভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে তারা দ্রুত ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হারুন অর রশিদ, মো. আলমগীর হোসেন প্রধান, ফাতেমা বেগম, সুরাইয়া ইসলাম মীম ও সুর্বণা আক্তার বলেন, প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম, আবুল হোসেন, নাছির উদ্দীন, মোহাম্মদ আলী বাবলু'সহ ২০-২৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। জসিম উদ্দিন প্রধানের দাবি, এ হামলায় ভাঙচুর ও গাছ কর্তনের ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকারও বেশি। তারা এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।

অপরদিকে, প্রতিপক্ষ পক্ষের সদস্য নাজমুল হোসেন সাত্তার বলেন, সাইফুল ইসলাম গংদের ৮৮৪ দাগে ২ একর ৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। দু’পক্ষের মধ্যে সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কয়েক বছর আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা জায়গা বুঝিয়ে দেয়নি। তাই আমরা নিজেদের জায়গা পরিষ্কার করেছি।

নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাজমুল হোসেন সাত্তার বলেন, এখানে আইনের কিছু নেই, আমাদের জায়গা আমরা পরিষ্কার করেছি, তাতে কার কি?

এ ঘটনায় স্থানীয়রা বলেন, পারিবারিক বিরোধ থাকলেও এমন অমানবিক ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জসিম উদ্দিন প্রধানের পক্ষ থেকেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত