খুলনায় আদালতের প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে ফজলে রাব্বী রাজন ও হাসিব হাওলাদারকে হত্যার তিন দিন পর পুলিশ বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। বুধবার দুপুরে খুলনা সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলাগুলো দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল হাই।
তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে মামলা করে। দুই মামলায় ১৫ থেকে ১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রূপসার চাঁনমারী এলাকার চর স্কুল গলিতে অভিযান চালিয়ে মো. রিপন (৩৬) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরদিন তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রিপনকে সাধারণ মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করে তাকে পুলিশ ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এমন দাবি নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন রিপনের স্ত্রী আঁখি।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর নতুন বাজার চরের নিজ বাসা থেকে সদর থানা পুলিশ রিপনকে আটক করে। পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় রিপন অংশ নিয়েছিল। কিন্ত রিপন ওই সময় ফকিরহাটের ফলতিতা বটতলা বাজারে ছিল। সে আদি বাগেরহাট মৎস্য আড়তে মাছ কেনার কাজে ব্যস্ত ছিল। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। তিনি রিপনের মোবাইল লোকেশান যাচাই বাছাই এরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত হাসিবের ভাই সুমন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি দাবি করেন রিপন শেখ তাদের পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ। সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। ভাইয়ের হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পুলিশ নিরীহ রিপন শেখকে আটক করে কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। সুমন হাওলাদারও রিপনের মুক্তির দাবি জানান।
গত ৩০ নভেম্বর খুলনার আদালত চত্বরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনকে।


খুলনায় চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার, ২৪ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি