যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ২১: ১৮

যমুনা সেতুর সঙ্গে আর থাকছে না রেললাইন। ইতোমধ্যে খুলে ফেলা শুরু হয়েছে নাট-বোল্ট। গত বৃহস্পতিবার সেতুর পূর্ব পাড়ে (টাঙ্গাইল অংশে) এ কার্যক্রম শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতু গত ১৮ মার্চ চালু হওয়ার পর থেকেই সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। এর পর লাইনটি খুলে ফেলার দিনক্ষণ নিয়ে ভাবতে শুরু করে সেতু কর্তৃপক্ষ।

যমুনা রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, যমুনা রেলওয়ে সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সড়ক সেতুর সঙ্গে থাকা রেললাইনের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই লাইনটি খুলে ফেলা হচ্ছে। রেললাইন খুলে ফেলার পর সেতুর উত্তর-দক্ষিণ লেন আরো প্রশস্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, রেললাইন খোলার পর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতুতে আরো সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। এই সাড়ে তিন মিটার জায়গা সেতুর মূল সড়কে সংযোগ করা হবে। এতে সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ লেনে আট মিটার করে সড়ক প্রশস্ত হবে। এ কারণেই যানবাহন চলাচলে জায়গা বাড়বে। ফলে যানজট এবং দুর্ভোগ হবে না।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল যমুনা বহুমুখী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেতুর নির্মাণকাজ শেষে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সেতুর ওপর কোনো রেলপথ ছিল না। পরে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলবাসীর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর উত্তর পাশে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেললাইন। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

সেতুর ওপর দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে প্রথমে সেতুর উত্তর লেনে ফাটল দেখা দেয়। পরে ফাটলটি সেতুর দক্ষিণ পাশেও ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সেতুর ওপর ট্রেন চলাচলের গতিসীমা কমানো হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ট্রেন পারাপার হতে সময় লাগত প্রায় ২০ মিনিট। এতে যমুনা নদীর ওপর রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। যমুনা রেলওয়ে সেতু চালু হওয়ায় যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত