ঢাকার কেরানীগঞ্জে কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় এলিগেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলীকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে গত রোববার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশুটি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় বসবাস করে। অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলী স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। গত ২৬ নভেম্বর শিশুটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে অসুস্থতা বোধ করলে তার মা তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। দুদিন পর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল আলম জানান, এ ঘটনায় রমজান আলীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে আমরা তাকে আটক করেছি। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে এলিগেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার জাহিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

