কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বজ্রপাত ক্রমশ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গত ছয় বছরে (২০২০-২০২৪) সরকারি হিসেবে বজ্রপাতে ৬৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি সূত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। এই সময়ে অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু গবাদি পশু মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে নারী,পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
বর্ষা মৌসুমের আগে হাওরাঞ্চলে বজ্রপাতের প্রকোপ বাড়ে। মাছ ধরা, কৃষি কাজ, গরু চরানো বা দৈনন্দিন গৃহস্থালির কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা হাওরাঞ্চলে কৃষক ও জেলেদের সুরক্ষার জন্য বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারিভাবে বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে প্রচারণার অভাবে অনেকেই এই বিষয়ে অবগত নন।
এই পরিস্থিতিতে, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে হাওরের ধুপাবীল এলাকায় কৃষক ও জেলেদের নিরাপত্তার জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে এটিই একমাত্র আশ্রয়কেন্দ্র।
স্থানীয় কৃষক ও জেলেদের দাবি, বজ্রনিরোধক দণ্ডসহ হাওরে আরও কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার একান্ত প্রয়োজন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা বজ্রপাতের সময় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার এবং সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

