নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল
যাত্রীসংকটে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান যোগাযোগ। লোকসানের মুখে ইতোমধ্যে নাভোএয়ার ও ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কোনোমতে রুটটি সচল রাখার জন্য সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমান।
বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। স্বাচ্ছন্দ্যে ও কম সময়ের মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা। তা ছাড়া আকাশপথে যাতায়াত ব্যয়বহুল হওয়ায় সড়কপথকে বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ যাত্রী। এতে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমান্বয়ে লাভজনক হয়ে ওঠে এ রুট। করোনার ধাক্কা সামলে বিমান চলাচল শুরু হলে ভাড়া বৃদ্ধি পায় এ রুটে। এরপর থেকে যাত্রী কমতে থাকে। এর মধ্যে চালু হয় পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াত সহজ হয়ে যায় এবং যাত্রার সময় অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে আকাশপথে যাত্রীর তীব্র সংকট দেখা দেয়। \
সংকটের মধ্যে যাত্রীসংখ্যা বাড়াতে ভাড়া কমিয়ে দেয় এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা সংস্থাগুলো। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। লোকসান কমাতে ভাড়া বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬শ টাকা করে বিমান। ফলে যাত্রীসংখ্যা আরো কমছে। যাত্রী কমে যাওয়ায় সপ্তাহে এখন তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণের ৩০ মিনিট পর যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানের একটি ফ্লাইট । শুক্রবার সকাল ১০টা কিংবা ১১টায় বরিশালে অবতরণ করে ৩০ মিনিট পর যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় অপর একটি ফ্লাইট। একইভাবে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে বরিশাল এসে ৩০ মিনিট অবস্থানের পর ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানের ফ্লাইট। বরিশাল থেকে ঢাকায় অফিস সময়ের আগে পৌঁছানো যায় না। ফলে সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তারা আকাশপথ এড়িয়ে চলেন। তা ছাড়া শিডিউলের কারণেও যাত্রীসংখ্যা কমছে।
সম্প্রতি বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ একেবারেই নেই। তবে ঢাকা থেকে বরিশালে আসার ফ্লাইটে মোটামুটি যাত্রী রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে বরিশাল আসা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে। তাদের একজন রহমতপুরের বাসিন্দা টুম্পা। তিনি জানান, তিনি বিমানেই যাতায়াত করেন। তবে ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিমানবন্দরে আসতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। এ ছাড়া কোনো কোনো সময় বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরো ৩০ মিনিট। একইভাবে বরিশাল বিমানবন্দরে আসার পরও কিছুটা সময় অপচয় হয়। এক্ষেত্রে যে ভাড়া ও সময় অপচয় হয়, প্রায় একই সময়ে সড়কপথে বরিশাল পৌঁছানো যায়। এ কারণেই মানুষ বিমান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সড়কপথেই যাতায়াত করছে।
আবুল হাসান লিমন নামের এক যাত্রী বলেন, বিমানের সেবার মান ভালো নয়। পাশাপাশি সারা দেশের তুলনায় বরিশালে ভাড়া অনেক বেশি। বরিশাল থেকে ঢাকায় যেতে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এ ছাড়া বরিশাল-ঢাকা রুটে সোহাগ ও গ্রীন লাইন পরিবহনের মতো ভালো মানের বাস রয়েছে। মাত্র ১ হাজার কিংবা ১২শ’ টাকায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। এ কারণেই বরিশালে বিমানের যাত্রী কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান সেবা চালু থাকা প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে দিন দিন যাত্রীসংখ্যা কমছে তাতে কত দিন এভাবে বিমানসেবা চালু রাখা যাবে তা বলা মুশকিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বিমানের যাত্রী অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে কারণে অনেকটা ঝুঁকির মধেই আছে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান চলাচল।
এ বিষয়ে বরিশাল বিমানবন্দরের ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিমানের শিডিউল ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বরিশালের জেলা ব্যবস্থাপক দীপন কুমার সাহাকে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
যাত্রীসংকটে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান যোগাযোগ। লোকসানের মুখে ইতোমধ্যে নাভোএয়ার ও ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কোনোমতে রুটটি সচল রাখার জন্য সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমান।
বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। স্বাচ্ছন্দ্যে ও কম সময়ের মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা। তা ছাড়া আকাশপথে যাতায়াত ব্যয়বহুল হওয়ায় সড়কপথকে বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ যাত্রী। এতে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমান্বয়ে লাভজনক হয়ে ওঠে এ রুট। করোনার ধাক্কা সামলে বিমান চলাচল শুরু হলে ভাড়া বৃদ্ধি পায় এ রুটে। এরপর থেকে যাত্রী কমতে থাকে। এর মধ্যে চালু হয় পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াত সহজ হয়ে যায় এবং যাত্রার সময় অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে আকাশপথে যাত্রীর তীব্র সংকট দেখা দেয়। \
সংকটের মধ্যে যাত্রীসংখ্যা বাড়াতে ভাড়া কমিয়ে দেয় এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা সংস্থাগুলো। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। লোকসান কমাতে ভাড়া বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬শ টাকা করে বিমান। ফলে যাত্রীসংখ্যা আরো কমছে। যাত্রী কমে যাওয়ায় সপ্তাহে এখন তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণের ৩০ মিনিট পর যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানের একটি ফ্লাইট । শুক্রবার সকাল ১০টা কিংবা ১১টায় বরিশালে অবতরণ করে ৩০ মিনিট পর যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় অপর একটি ফ্লাইট। একইভাবে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে বরিশাল এসে ৩০ মিনিট অবস্থানের পর ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানের ফ্লাইট। বরিশাল থেকে ঢাকায় অফিস সময়ের আগে পৌঁছানো যায় না। ফলে সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তারা আকাশপথ এড়িয়ে চলেন। তা ছাড়া শিডিউলের কারণেও যাত্রীসংখ্যা কমছে।
সম্প্রতি বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ একেবারেই নেই। তবে ঢাকা থেকে বরিশালে আসার ফ্লাইটে মোটামুটি যাত্রী রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে বরিশাল আসা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে। তাদের একজন রহমতপুরের বাসিন্দা টুম্পা। তিনি জানান, তিনি বিমানেই যাতায়াত করেন। তবে ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিমানবন্দরে আসতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। এ ছাড়া কোনো কোনো সময় বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরো ৩০ মিনিট। একইভাবে বরিশাল বিমানবন্দরে আসার পরও কিছুটা সময় অপচয় হয়। এক্ষেত্রে যে ভাড়া ও সময় অপচয় হয়, প্রায় একই সময়ে সড়কপথে বরিশাল পৌঁছানো যায়। এ কারণেই মানুষ বিমান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সড়কপথেই যাতায়াত করছে।
আবুল হাসান লিমন নামের এক যাত্রী বলেন, বিমানের সেবার মান ভালো নয়। পাশাপাশি সারা দেশের তুলনায় বরিশালে ভাড়া অনেক বেশি। বরিশাল থেকে ঢাকায় যেতে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এ ছাড়া বরিশাল-ঢাকা রুটে সোহাগ ও গ্রীন লাইন পরিবহনের মতো ভালো মানের বাস রয়েছে। মাত্র ১ হাজার কিংবা ১২শ’ টাকায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। এ কারণেই বরিশালে বিমানের যাত্রী কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমান সেবা চালু থাকা প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে দিন দিন যাত্রীসংখ্যা কমছে তাতে কত দিন এভাবে বিমানসেবা চালু রাখা যাবে তা বলা মুশকিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বিমানের যাত্রী অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে কারণে অনেকটা ঝুঁকির মধেই আছে বরিশাল-ঢাকা রুটের বিমান চলাচল।
এ বিষয়ে বরিশাল বিমানবন্দরের ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিমানের শিডিউল ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বরিশালের জেলা ব্যবস্থাপক দীপন কুমার সাহাকে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে