আনোয়ারার দীর্ঘ কষ্টের অবসান ঘটালেন বিএনপি নেতা ছিদ্দিক উল্লাহ

উপজেলা প্রতিনিধি, (চরফ্যাশন) ভোলা
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১: ১৮
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫: ৫৯

আবারও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোলা–৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট মোহাম্ম ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। বিধবা নারী আনোয়ারা বেগমের দীর্ঘ ২৬ বছরের কষ্টের অবসান ঘটিয়ে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।

দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো বিএনপি নেতা ছিদ্দিক উল্লাহর জন্য এটাই শুধু নতুন নয়। এর আগে মানবতার বহু নজির গড়েছেন তিনি। মাদ্রাসার এতিম শিশুদের জন্য সুশিক্ষা ও খাবারের ব্যবস্থা করা, আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসন, দোকান, অটোরিকশা বিতরণ এবং মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হাত-পা হারানো ব্যক্তিদের অর্থ সহায়তা তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

বিজ্ঞাপন

ছিদ্দিক উল্লাহর জন্য দীর্ঘ কষ্টের পর আশার আলো দেখেন চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের ঢালের আনোয়ারা বেগম। বিধবা এই নারী তার স্বামীর মৃত্যুর পর অভাব অনটনে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ২৬ বছর। ভাঙাচোরা একটি ঝুপড়ি ঘরই ছিল তার শেষ আশ্রয়। মাথার ওপর ভাঙা টিনের ছাউনি, চারপাশে দুর্বল বেড়া। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারতো সেই ঘর। দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে জীবন পার করেন চরম অভাবে। এমতাবস্থায় দু:খিনী আনোয়ারার পাশে দাঁড়ান বিএনপির এই নেতা।

sakhawat

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া অসহায়দের জন্য মানবতার ফেরিওয়ালা। তিনি শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিও নয়– মানুষের দু:খ- কষ্ট মোছার জন্য তার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং ছুটে যান বিপদ-আপদে।

এদিকে, গত বুধবার নতুন ঘর পেয়ে দারুণ উৎফুল্ল প্রকাশ করে আনোয়ারা বেগম বলেন, আমি কখনও সরকারি সাহায্য ও সমাজের সহায়তা পাইনি। অনাহার অর্ধাহারে বহু কষ্টে কাটিয়েছি দীর্ঘ বছর– সহায়তা কেউ ছুটে আসেনি। আমার এই দীর্ঘ কষ্টের অবসান মুছেন ছিদ্দিক উল্লাহ ভাই। তিনি আমাকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। আল্লাহপাক উনার মঙ্গল করুক।

ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, আমি কাউকে কখনও খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি না। সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করার চেষ্ট করি। আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে জানালে আমাকে পাশে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত