ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে বাঁশখালীর ২৬ মাঝি-মাল্লাসহ এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে এব্যাপারে সদরঘাট নৌ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এফ বি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক বাঁশখালীর শেখের-খীল ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম।
ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার শেখের-খীল এলাকা থেকে "এফ,বি, মায়ের দোয়া" নামে আমার মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে রওনা দিলে ঘন কুয়াশায় ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে ২৬ জেলেসহ ফিশিং ট্রলারটি ভারতীয় কোস্টগার্ড ধরে নিয়ে যায়।
২৬ জেলেরা হলেন- বাঁশখালীর শীলকূপ এলাকার- মো. আলী চাঁন, মো. জিয়াউল হক, মো. ইউসুফ, মো. জোবাইর ও ওসমান গণি। কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া এলাকার রেজাউল করিম,আবু তাহের,ছরওয়ার হোসেন, মো. মিরাজ উদ্দীন, মামুনুর রশীদ, ছৈয়দ নূর, শওকত আলম, মো. ইলিয়াস মো. মারুফুল ইসলাম, মো. ফারুক, মো. একরাম ও নূর মোহাম্মদ। মহেশখালী এলাকার আজিজুর রহমান,মোজাম্মেল হক, পেকুয়ার মোহাম্মদ আজিজ,লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মো. হাসান। ওই ফিশিং ট্রলারে থাকা আরো ৫ জেলের নাম জানা যায়নি।
শেখের-খীল ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবদু শুক্কুর বলেন,গত ১৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী শেখের-খীল ফারির মুখ এলাকা থেকে ট্রলারটি যাত্রা করে। ১৫ নভেম্বর শনিবার রাতে ২৬ মাঝি- মাল্লাসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের বিষয়টি জানতে পারে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফিশিং ট্রলারসহ ২৬ মাঝিমাল্লা বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ফ্রেজারগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ থানার (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি থানায় একটি অবহিতকরন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

