টানা বর্ষণে পানির নিচে পটুয়াখালী শহর

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৪৫
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৫০
পটুয়াখালী পানির নিচে

তিনদিনের টানা ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা ছাপিয়ে লোকালয় পানির নিচে

তলিয়ে গেছে। বিরতিহীন একটানা বৃষ্টির কারনে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলো হাঁটু সমান পানিতে ডুবে যায়। স্কুল,কলেজগামী শিক্ষাথী, অফিসগামী কর্মকর্তা ও ব্যবাসায়ীদের ভোগান্তির শেষ নাই। বাসা-বাড়ীতে পানি ঢুকে চরম দুভোর্গে নিম্ন ও খেটে

বিজ্ঞাপন

মানুষদের। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।

শহরের নতুন বাজার, পুরান বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী সড়ক, মহিলা কলেজ,কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হল সংলগ্ন, কালিকাপুর এলাকা, ডিসি অফিস,গণপূর্ত অফিস ও পুরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে

পড়েছে কিছ ুকিছ ুএলাকায় বসতবাড়ি ও দোকানপাটে।

অপরদিকে অতিভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেনি কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় সরকারী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জুবিলী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেরে বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজকের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।

পুরান বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার বলেন, 'সকালে দোকান খুলে দেখি ভেতরে পানি। টিভি, পাখা, কাপড় সব নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিবারই একই সমস্যা হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান নেই।'

সোনালী ব্যাংক এলাকার বাসিন্দা রুমি জানায়, পেরৗসভা কর্তৃপক্ষ যে ড্রেন গুলো করা হয়েছে তা যদি আর একটু প্রশস্ত করতো তা হলে পানি গুলো দ্রম্নত নামতে পারতো পানি গুলো দ্রম্নত না নামার কারনে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়।

জলাবদ্ধতার কারণে শহরের ব্যবসায়ী সহ অফিসগামী মানুষকেও পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাস্তাঘাটে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক ও দিন মজুরদের আয়-রোজগারে বড় প্রভাব পড়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানান তারা। পটুয়াখালী পেরৗ প্রশাসক (উপ-সচিব) জুয়েল রানা বলেন,'টানা তিনদিনের বর্ষনে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। আমিসহ পেরৗসভা অনেকগুলো টিম সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে তদারকি করছি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে এবং ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। পানি নামার উৎসমুখগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে। তবে পেরৗসভার

মাস্টার প্লান অনুযায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলে স্থায়ীভাবে এই জলাবদ্ধতার দূর হবে'।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত