সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার সাথে বিএনপি নেতার ছবি ভাইরাল

উপজেলা প্রতিনিধি, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ২৪

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দেবিদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদ্দাম হোসেনের সাথে কুমিল্লা জেলা বিএনপির নেতা এ এফ এম তারেক মুন্সির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই ছবিতে দেখা যায়, বামে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি মাঝে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও ডানে সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বড় ভাই রাকিব মুন্সি।

এর মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদ্দাম হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট পিস্তল হাতে নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে। তাকে সোমবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দু’টি হত্যা ও সন্ত্রাসীসহ সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় চারটি মামলা রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল। হত্যার ঘটনায় ২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুবেলের মা হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা তারেক মুন্সীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও তার ক্যাডার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরও কয়েকজন হত্যাকারীকে বাঁচাতে আমার পায়ে ধরে এবং বড় অঙ্কের টাকার অফার দেয়।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ এফ এম তারেক মুন্সি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। তারেক মুন্সি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের গণসংযোগ চলাকালে বিএনপির সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে সাদ্দাম হোসেন। নির্বাচনে তারেক মুন্সি হেরে গেলে তার ভাতিজা তৎকালীন এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নির্দেশে বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৫৭ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলায় দায়ের করে সাদ্দাম । ওই মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি ও তার ছেলে ব্যারিস্টার রিজভিউল আহসান মুন্সিসহ ৩২ জন নেতা কর্মী কারাগারে যায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এফএম তারেক মুন্সি বলেন, সাদ্দামের সাথে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিটি ২০০৮ বা ২০০৯ সালের। তখন সাদ্দাম কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিল না। তিনি আরো বলেন, দেবিদ্বারে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে এবং আমার সম্মানহানি করার পাঁয়তারা করছে।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত