ফেনীর ঐতিহাসিক জমিদারবাড়ি
এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
ফেনীতে ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি। বাংলা ১২২৮ সালের ১৩ ফাল্গুন জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামে এ জমিদারবাড়ি নির্মাণ করেন তৎকালীন জমিদার রামনাথ কৃষ্ণ সাহা।
স্থানীয়দের কাছে এটি বড়বাড়ি ও রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গায় নির্মিত রাজপ্রাসাদসম এ বাড়িতে রয়েছে ৫টি অভিজাত ডিজাইনের দ্বিতল ভবন। ওই ভবনে রামনাথসহ তারা পাঁচ ভাই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
ঘরগুলোর চারপাশে খনন করা ১২টি পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে জমিদাররা মাছ চাষ করতেন। পুকুরগুলোতে ৫টি দৃষ্টিনন্দন বৈঠকখানা বেষ্টিত ঘাটলায় জমিদারদের পাঁচ পরিবারের বউ-ঝিরা গোসল ও গল্প করতেন। জমিদারি আমলে দেশ-বিদেশের অন্য জমিদাররা এ বাড়িতেই সফর বিরতি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
স্থানীয়দের দাবি, একটা সময় মাঠের ধানে ভরে যেত জমিদারবাড়ির উঠান, গোলা আর কাচারিঘর। ধান উঠানো শেষে শুষ্ক মৌসুমে সেই জমিতে চাষ হতো সরিষা, মটরশুটি, খেসারি, কলাই ও মসুর ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্য। ঘোড়ায় চড়ে জমিদাররা যাতায়াত করতেন এবাড়ি-ওবাড়ি। উপজেলার সিন্দুরপুর ও রাজাপুর এলাকায় পরিষদ ভবনে বসে ১০ তালুকের খাজনা আদায় করতেন জমিদাররা। সেই খাজনা জমা দিতেন সরকারি কোষাগারে।
১৯৫০ সালে জমিদারপ্রথা বিলুপ্তির পর এ পরিবারটির ক্ষমতা-দাপট কমতে থাকে। তারপরও দীর্ঘ ৪৮ বছর পর্যন্ত তারা এ বাড়িতে থেকেই নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৯৮ সালের দিকে ওই বাড়িতে কয়েকবার হামলা ও লুটপাট হওয়ার পর জমিদারের ওয়ারিশদের মাঝে ভয় কাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে তারা নিরাপত্তার অভাব, ব্যবসায়িক সমস্যা ও যোগাযোগ সমস্যার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ভারতের ত্রিপুরা ও কলকাতায় চলে যান। যাওয়ার সময় তাদের সব জমি ও পুকুরগুলো স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বর্গা দেন।
আগের ধারাবাহিকতায় এখনো প্রতি বছর ওই বাড়িতে দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন হয়। মেলায় জমিদারদের বংশধররা আসেন। উৎসবে চলে জমিদার বাড়ির স্মৃতিচারণ, পুঁথি পাঠ ও গল্প পাঠের আসর। উৎসব শেষে জমিদারদের তৃতীয় বংশধরেরা স্থানীয় কৃষকদের থেকে বর্গা চাষের টাকা নিয়ে চলে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে ঢুকতেই নজর কাড়বে একতলা ও দোতলা ভবনের কাচারিঘর। তার একটু সামনেই রয়েছে ছোট্ট একটি ঠাকুরঘর। পাশেই পুকুর পাড়ে স্থাপিত ভাঙাচোরা বৈঠকখানা ও ঘাটলা। সামনে তাকালে দুটি দৃষ্টিনন্দন দালান। ওই দালানের মাঝ দিয়ে সরু গলি পেরুলেই দেখা মিলবে একটি বড় উঠান। উঠানের তিন পাশে দাঁড়িয়ে আছে ৩টি তৎকালীন অভিজাত দালান।
তার আশপাশেই রয়েছে ইট, সুড়কি ও রড দিয়ে তৈরি আরো কয়েকটি দালান। এসব দালানের দেয়াল খসে গেছে অনেক জায়গায়। ইটের স্তর ভেদ করে কোথাও গজিয়ে গেছে পরজীবী গাছ। কোনো কোনো ভবনের উপরিভাগ ক্ষয়ে গেছে সেই অনেক আগেই। শ্যাওলা জমে গেছে কোনো কোনো জায়গায়। সিলিং লোহার এইচ বিমের ওপর স্তম্ভ, খিলান দেয়াল সবই ইট আর সুড়কির স্বল্প আয়ুর চিহ্ন বহন করে চলেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এখানে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ঐতিহাসিক ও প্রাচীন নিদর্শন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি অনেক গুরুত্ব বহন করে। এখানকার দালান-কোঠা দেখতে অনেকটা নারায়ণগঞ্জের পানাম সিটির মতোই। ফলে কম সময়েই ফেসবুক ও ইউটিউবে বাড়ির ঐতিহ্য দেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন।
চট্টগ্রাম থেকে আসা এক দর্শনার্থী জানান, ইউকিপিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি সম্পর্কে জানতে পেরে এটি দেখার শখ জাগে। তাই ৮ বন্ধু মিলে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে আসেন। এখানকার সৌন্দর্য্য-ঐতিহ্য ও যাতায়াত ব্যবস্থা তাদের মুগ্ধ করেছে। তবে এখানে শৌচাগার ও নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার আগেই ওই এলাকা ত্যাগ করতে হয়। বাড়িটি সংস্কার করে এখানে পর্যটনবান্ধন পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎহীন বাড়িটিকে ভুতুড়ে বাড়ি মনে হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিষ্কার না করায় বাড়িটির ভবনগুলোসহ চারপাশে আগাছা ও বনজঙ্গলে ভরে গেছে।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্রমেই ঐতিহ্য হারাচ্ছে ফেনীর প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি। ঐতিহাসিক এ বাড়িটি সংস্কারহীনতায় জরাজীর্ণ হয়ে আগাছায় ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হচ্ছে। তারপরও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী আসছে প্রতিদিনই। জমিদারদের রেখে যাওয়া নিদর্শনগুলো দেখতে আশপাশের জেলা ও উপজেলার মানুষও ভিড় জমান এ বাড়িতে।
তবে নিরাপত্তা, শৌচাগার ও বৈদ্যুতিক বাল্ব না থাকায় সন্ধ্যার আগেই এ বাড়ি ছাড়তে হয় দর্শনার্থীদের। এছাড়াও দীর্ঘদিন সংস্কারহীনতা ও পরিচ্ছন্নতার কাজ না হওয়ায় এ বাড়িটি ক্রমেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। দ্রুত বাংলার জমিদারি প্রথার নিদর্শন হিসেবে বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি দর্শনার্থীদের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা বলছেন, বাড়িটি এখনো জমিদারদের ওয়ারিশদের মালিকানায় রয়েছে। ফলে সরকারিভাবে এখানে সংস্কার বা অন্যকিছু করা যাচ্ছে না। এর আগে জমিদারদের নাতিদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হলেও তাদের থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বাড়িটির বিষয়ে জমিদারদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফেনীতে ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি। বাংলা ১২২৮ সালের ১৩ ফাল্গুন জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামে এ জমিদারবাড়ি নির্মাণ করেন তৎকালীন জমিদার রামনাথ কৃষ্ণ সাহা।
স্থানীয়দের কাছে এটি বড়বাড়ি ও রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গায় নির্মিত রাজপ্রাসাদসম এ বাড়িতে রয়েছে ৫টি অভিজাত ডিজাইনের দ্বিতল ভবন। ওই ভবনে রামনাথসহ তারা পাঁচ ভাই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
ঘরগুলোর চারপাশে খনন করা ১২টি পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে জমিদাররা মাছ চাষ করতেন। পুকুরগুলোতে ৫টি দৃষ্টিনন্দন বৈঠকখানা বেষ্টিত ঘাটলায় জমিদারদের পাঁচ পরিবারের বউ-ঝিরা গোসল ও গল্প করতেন। জমিদারি আমলে দেশ-বিদেশের অন্য জমিদাররা এ বাড়িতেই সফর বিরতি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
স্থানীয়দের দাবি, একটা সময় মাঠের ধানে ভরে যেত জমিদারবাড়ির উঠান, গোলা আর কাচারিঘর। ধান উঠানো শেষে শুষ্ক মৌসুমে সেই জমিতে চাষ হতো সরিষা, মটরশুটি, খেসারি, কলাই ও মসুর ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্য। ঘোড়ায় চড়ে জমিদাররা যাতায়াত করতেন এবাড়ি-ওবাড়ি। উপজেলার সিন্দুরপুর ও রাজাপুর এলাকায় পরিষদ ভবনে বসে ১০ তালুকের খাজনা আদায় করতেন জমিদাররা। সেই খাজনা জমা দিতেন সরকারি কোষাগারে।
১৯৫০ সালে জমিদারপ্রথা বিলুপ্তির পর এ পরিবারটির ক্ষমতা-দাপট কমতে থাকে। তারপরও দীর্ঘ ৪৮ বছর পর্যন্ত তারা এ বাড়িতে থেকেই নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৯৮ সালের দিকে ওই বাড়িতে কয়েকবার হামলা ও লুটপাট হওয়ার পর জমিদারের ওয়ারিশদের মাঝে ভয় কাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে তারা নিরাপত্তার অভাব, ব্যবসায়িক সমস্যা ও যোগাযোগ সমস্যার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ভারতের ত্রিপুরা ও কলকাতায় চলে যান। যাওয়ার সময় তাদের সব জমি ও পুকুরগুলো স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বর্গা দেন।
আগের ধারাবাহিকতায় এখনো প্রতি বছর ওই বাড়িতে দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন হয়। মেলায় জমিদারদের বংশধররা আসেন। উৎসবে চলে জমিদার বাড়ির স্মৃতিচারণ, পুঁথি পাঠ ও গল্প পাঠের আসর। উৎসব শেষে জমিদারদের তৃতীয় বংশধরেরা স্থানীয় কৃষকদের থেকে বর্গা চাষের টাকা নিয়ে চলে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে ঢুকতেই নজর কাড়বে একতলা ও দোতলা ভবনের কাচারিঘর। তার একটু সামনেই রয়েছে ছোট্ট একটি ঠাকুরঘর। পাশেই পুকুর পাড়ে স্থাপিত ভাঙাচোরা বৈঠকখানা ও ঘাটলা। সামনে তাকালে দুটি দৃষ্টিনন্দন দালান। ওই দালানের মাঝ দিয়ে সরু গলি পেরুলেই দেখা মিলবে একটি বড় উঠান। উঠানের তিন পাশে দাঁড়িয়ে আছে ৩টি তৎকালীন অভিজাত দালান।
তার আশপাশেই রয়েছে ইট, সুড়কি ও রড দিয়ে তৈরি আরো কয়েকটি দালান। এসব দালানের দেয়াল খসে গেছে অনেক জায়গায়। ইটের স্তর ভেদ করে কোথাও গজিয়ে গেছে পরজীবী গাছ। কোনো কোনো ভবনের উপরিভাগ ক্ষয়ে গেছে সেই অনেক আগেই। শ্যাওলা জমে গেছে কোনো কোনো জায়গায়। সিলিং লোহার এইচ বিমের ওপর স্তম্ভ, খিলান দেয়াল সবই ইট আর সুড়কির স্বল্প আয়ুর চিহ্ন বহন করে চলেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এখানে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ঐতিহাসিক ও প্রাচীন নিদর্শন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি অনেক গুরুত্ব বহন করে। এখানকার দালান-কোঠা দেখতে অনেকটা নারায়ণগঞ্জের পানাম সিটির মতোই। ফলে কম সময়েই ফেসবুক ও ইউটিউবে বাড়ির ঐতিহ্য দেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন।
চট্টগ্রাম থেকে আসা এক দর্শনার্থী জানান, ইউকিপিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি সম্পর্কে জানতে পেরে এটি দেখার শখ জাগে। তাই ৮ বন্ধু মিলে মাইক্রোবাস নিয়ে চলে আসেন। এখানকার সৌন্দর্য্য-ঐতিহ্য ও যাতায়াত ব্যবস্থা তাদের মুগ্ধ করেছে। তবে এখানে শৌচাগার ও নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার আগেই ওই এলাকা ত্যাগ করতে হয়। বাড়িটি সংস্কার করে এখানে পর্যটনবান্ধন পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎহীন বাড়িটিকে ভুতুড়ে বাড়ি মনে হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিষ্কার না করায় বাড়িটির ভবনগুলোসহ চারপাশে আগাছা ও বনজঙ্গলে ভরে গেছে।
এদিকে, সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্রমেই ঐতিহ্য হারাচ্ছে ফেনীর প্রতাপপুর জমিদারবাড়ি। ঐতিহাসিক এ বাড়িটি সংস্কারহীনতায় জরাজীর্ণ হয়ে আগাছায় ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হচ্ছে। তারপরও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী আসছে প্রতিদিনই। জমিদারদের রেখে যাওয়া নিদর্শনগুলো দেখতে আশপাশের জেলা ও উপজেলার মানুষও ভিড় জমান এ বাড়িতে।
তবে নিরাপত্তা, শৌচাগার ও বৈদ্যুতিক বাল্ব না থাকায় সন্ধ্যার আগেই এ বাড়ি ছাড়তে হয় দর্শনার্থীদের। এছাড়াও দীর্ঘদিন সংস্কারহীনতা ও পরিচ্ছন্নতার কাজ না হওয়ায় এ বাড়িটি ক্রমেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। দ্রুত বাংলার জমিদারি প্রথার নিদর্শন হিসেবে বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি দর্শনার্থীদের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা বলছেন, বাড়িটি এখনো জমিদারদের ওয়ারিশদের মালিকানায় রয়েছে। ফলে সরকারিভাবে এখানে সংস্কার বা অন্যকিছু করা যাচ্ছে না। এর আগে জমিদারদের নাতিদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হলেও তাদের থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বাড়িটির বিষয়ে জমিদারদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে