বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলা, অভিযোগ গিয়াস কাদেরের সমর্থকদের দিকে

এলাকায় উত্তেজনা, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ২১: ৩৯
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ২২: ১৮

চট্টগ্রামের রাউজানে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় গোলাম আকবরসহ অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ হামলার জন্য তিনি প্রতিপক্ষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাউজানের সাত্তারঘাট এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। গোলাম আকবর খন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী অর্জন দাশ জানান, রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে তার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তার সঙ্গে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী ছিলেন। গাড়িবহর উপজেলার সাত্তারঘাট এলাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ওঁতপেতে থাকা দুর্ত্ত‍ৃরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একইসাথে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় গোলাম আকবর খন্দকারসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার পর গোলাম আকবর সমর্থকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার জানান, আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছে। এ ঘটনার সাথে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরাই এই হামলা নেতৃত্ব দিয়েছে।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী জানান, গত ১৫ দিন ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় অবস্থান করছেন। এই হামলা বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। উদ্দেশ্যেমূলকভাবে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে গোলাম আকবর খন্দকার এমন অভিযোগ করছেন। যার কোনো ভিত্তি নেই।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজানে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গেল ১ বছরে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে একে অন্যকে আক্রমণ করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন প্রভাবশালী এই দু’বিএনপি নেতা। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র থেকে দফায় দফায় সমঝোতার উদ্যোগ এমনকি দু’জনকে শোকজ করেও সুফল পায়নি। আধিপত্য নিয়েই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার ডিউটি অফিসার জুয়েল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নে করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল টীম ঘটনাস্থলে আছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত