৭ ঘণ্টার অভিযান: সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ১০ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল গুলি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৪
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৮

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া, আঁধার ঘোনা ও মিজ্জির পাড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসিদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী। সেইসঙ্গে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ওই তিন দূর্গম এলাকায় সন্ত্রাসিদের দখলবাজি ও গুপ্ত হত্যা বন্ধ করতে সেখানে বিশেষ অভিযান চালায় কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্ণেল কামরুল হাসানের নেতৃত্বে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা সাতঘন্টার অভিযানে সন্ত্রাসিদের অন্তত ৫টি আস্তানা ও টংঘর গুড়িয়ে দেয় যৌথবাহিনী। এসময় উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি একনলা বন্দুক, ৩টি দেশীয় এলজি, ৩টি ডামি এলজি, ৬ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ৩ রাউন্ড ৭.৬২ ব্লাঙ্ক এ্যামুনেশন, ৮ রাউন্ড এমজি লাইভ এ্যামুনেশন, ১৩ রাউন্ড রাইফেলের এম্যুনেশন ও ৬০-৮০ মিটার বৈদ্যুতিক তার।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, গহীন পাহাড় হওয়ায় বড় অভিযানেও ভ্রাম্যমাণ অস্ত্রের কারখানা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি অভিযানকারিরা। গ্রেপ্তার করা যায়নি দ্বীপের দাগী সন্ত্রাসীদের।

র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল কামরুল হাসান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। র‌্যাব সুত্র মতে, এই অভিযানে র‌্যাব, নৌবাহিনী ও পুলিশের ২৫০ জন সদস্য অংশ নেয়।

দ্বীপের বাসিন্দাদের মতে, পাহাড়ের চারদিক সাগরবেষ্টিত হওয়ায় একদিকে অভিযান শুরু করলে সন্ত্রাসি ও অস্ত্রের কারিগররা গহীন পাহাড়ের অন্যপ্রান্তে চলে যায়। এতে সহজে সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না।

জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতব্বর সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছোট ভাই শহীদ তানভীর ছিদ্দিকী ও চাচা তোফায়েল হত্যার গডফাদার তারেক, নোমান, লম্বা তারেক, কালাবদার নেতৃত্বে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসিরা ফকিরজুম পাড়া পাহাড়, নোনাছড়ি গোদার পাড়া ও আঁধার ঘোনার দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানে টংঘর তৈরি করে অস্ত্রের কারখানা গড়ে তুলেছিল।

কক্সবাজারে দায়িত্বরত র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্ণেল কামরুল হাসান অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসিদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চিহ্নিত ডাকাত ও শীর্ষ সন্ত্রাসিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত