আ.লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ২৩

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চাঁদপুর ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার দুপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাদাবি ও কলেজের প্রভাষক পদে চাকরিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং মারধররে অভিযোগ এনে চাঁদপুরে মামলা করেন তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী।

মামলাটি আমলে নিয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন।

মামলার আসামিরা হলেন সুজিত রায় নন্দী, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস, বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মীজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক বিষয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীর বিপরীত মতের হওয়ায় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কলেজ ত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে তিনি মামলা থেকে খালাস পান। আর এই মামলা দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য প্রভাব খাটিয়ে সার্বিক ব্যবস্থার আয়োজন করেন।

মামলার বাদী বলেন, ‘চাকরি ঠিক রাখার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে বেতন ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। ক্ষমতার দাপটে তখন সুজিত রায় নন্দীসহ তার সহযোগীরা সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন।’

শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ২০১৬ সালে আমি প্রভাষক হিসেবে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে যোগদান করি। এরপর থেকে সুজিত রায় নন্দীসহ তার সহযোগীরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই মামলা দায়ের করেছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত