বাঁশখালীর চিংড়ির রেণু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

উপজেলা প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১৫: ৫৮

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া, খুদুকখালী, বড়ঘোনা, গন্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদ ও পুকুরিয়া থেকে সংগৃহীত চিংড়ি রেণু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বিজ্ঞাপন

অথচ আইন অনুযায়ী, রেণু পোনা আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু লাভজনক বিধায় এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও সচেতনতার অভাবে নিম্নআয়ের বহু মানুষ এখন এতে জড়িয়ে পড়েছেন। এমনকি স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুরাও রেণু পোনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাঁশখালীর সাগর থেকে সংগৃহীত এসব চিংড়ি রেণু চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে প্রায় কয়েক কোটি টাকা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়ি রেণু ধরতে এসব মানুষকে মশারি জাল সরবরাহ করছে। এসব জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু আহরণকালে অন্য প্রজাতির মাছের পোনাও উঠে আসছে, যা মৎস্যসম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ।

বাঁশখালীতে ১০০ চিংড়ি পোনা ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি হয়। অনেক নিম্নআয়ের পরিবার এই চিংড়ি রেণু ধরেই দৈনিক ৬০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা নারী ও তাদের সন্তানরা সংসারের অভাব মেটাতে চিংড়ি রেণু সংগ্রহ করছে।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশখালীতে দুই ধরনের চিংড়ি পোনা পাওয়া যায়। লবণাক্ত পানিতে বাগদা ও মিষ্টিপানিতে গলদা চিংড়ির রেণু মেলে। বাঁশখালীর ছনুয়া, সরল, গণ্ডামারা, বাহারছড়া ও খানখানাবাদে পাওয়া যায় বাগদার পোনা। অন্যদিকে পুকুরিয়া ও সাধনপুরে শঙ্খ নদে পাওয়া যায় গলদার রেণু।

চিংড়ি রেণু ব্যাবসায়ী রুহুল কাদের বলেন, গন্ডামারা ও ছনুয়া থেকে সংগ্রহ করা রেণু কিনে দেশের নানা প্রান্তে পাঠিয়ে আমরা এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি।

ব্যবসায়ী ফজলুল কাদের বলেন, বাঁশখালীতে চিংড়ি রেণু সংরক্ষণের জন্য হ্যাচারি না থাকায় সাগর থেকে শিকার করা অধিকাংশ রেণু মারা যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তৌসিব উদ্দিন বলেন, উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি পোনা সংগ্রহ আপাতত বন্ধ রয়েছে। পোনা সংগ্রহ কালে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য পোনা যাতে নষ্ঠ না হয় সেজন্য আমরা সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা নিচ্ছি। সংগৃহীত পোনার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও সংরক্ষণের জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত