কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে চলতি মাসে কয়েকগুণ বেশি ভূতুড়ে বিল আসার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা রোববার চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ ওয়াপদা অফিসে বিক্ষোভ করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, পোস্টপেইড মিটারের গ্রাহকদের জোরপূর্বক প্রিপেইড মিটার নিতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অস্বাভাবিক বিল করছে।
শ্রীপুরের ভিক্ষুক পেয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রতি মাসে আমার বিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে হতো। কিন্তু এবার বিল এসেছে ৮ হাজার টাকা। ভিক্ষা করে এত বিল দেয়া সম্ভব নয়।’
চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, গত মাসে তার বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩৭৭০ টাকা, আর এবার এসেছে ১৭ হাজার টাকা। একই ওয়ার্ডের বাবুল মিয়ার বিল গত মাসে ছিল ১৮০২ টাকা, এবার এসেছে ৮ হাজার টাকা।
মুন্সিরহাটের শাহআলমের বিল এসেছে ৯৩ হাজার ৭৩০ টাকা।
চৌদ্দগ্রাম বাজার জামে মসজিদ সড়কের কহিনুর বেগম অভিযোগ করেন, ‘মিটার অনুযায়ী আমার বিল ৩ হাজার টাকার মতো হলেও কর্তৃপক্ষ বিল করেছে ৫ হাজারের বেশি।’
এ বিষয়ে পিডিবি চৌদ্দগ্রামের আবাসিক প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকদের অভিযোগ সত্য। মিটার রিডাররা অনিয়ম করে রিডিং না নিয়ে গড় বিল করায় এমন সমস্যা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পোস্টপেইড গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আগে পূর্বের বকেয়া বিল একত্রিত করে সমন্বয় করা হয়েছে। এতে কারো কারো বিল অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।
তিনি আশ্বাস দেন, ভুক্তভোগীদের সুবিধার্থে বাড়তি বিল কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।

