সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার একটি তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের ২০ হাজার ৩০০ পিস কথিত ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নেমেও কূল-কিনারা করতে পারেনি । ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গার্মেন্ট মালিক সায়েদুল ইসলামসহ ৩ জন গ্রেপ্তার হলেও তাদের কাছ থেকে সঠিক কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। গোয়েন্দাদের দাবি, কেএনএফের মতো ক্ষীণকায় সংগঠনকে বড় করে উপস্থাপন করে নতুন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৭ মে রাতে পোশাকগুলো উদ্ধার করা হলেও খবরটি ছড়িয়ে দেওয়া হয় ২৫ মে সকালে। এরপর থেকে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা হয় আমার দেশ’র। তারা জানায়, ইতিমধ্যে ইউনিফর্মগুলোর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দেশের কোনো সংগঠনের ইউনিফর্মের সঙ্গে মিলছে না। তাদের হিসাবে কেএনএফের সদস্য আছে মাত্র কয়েকশ’। ২০ হাজারের বেশি ইউনিফর্ম তাদের কাজে আসবে না। এছাড়া উদ্ধার হওয়া পোশাকের রঙ ও কাপড়ের ধরনের সঙ্গে আগে পাহাড়ি এলাকার অভিযানে জব্দ কেএনএফের ইউনিফর্মের কোনো মিল নেই। ইউপিডিএফ বাংলাদেশ আর্মির ইউনিফর্মের মতো ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। জেএসএস খাকি-জলপাই রঙের এক কালারের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গেও উদ্ধার হওয়া পোশাকের মিল নেই। ত্রিপুরা, মিজোরামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো যে ধরনের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে তার সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া গেলেও কাপড়ের ধরনের সঙ্গে মিলছে না একেবারেই। পাহাড়ি সংগঠনগুলো আলাদা আলাদা রঙের ইউনিফর্ম ব্যবহার করলেও কাপড়ের ধরন অনেকটা এক রকমের। সবাই মোটা কাপড়ের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। কিন্তু গার্মেন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া পোশাকগুলো জার্সি ধরনের কাপড়।
কেএনএফের নাম এলো কেন?
নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে কেএনএফ এখন ক্ষীণকায় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জেএসএসের সঙ্গে বিরোধ থাকায় প্রকাশ্যে কর্মকাণ্ড চালাতে পারে না এটি। কিছুদিন আগে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিশে অস্তিত্ব রক্ষার একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জেএসএসের বাধায় তা সফল হয়নি। বান্দরবানের গহিন পাহাড়ে দুশ’র মতো সদস্য নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করছে সংগঠনটি। এই বাস্তবতায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ২০ হাজার ৩শ’ পিস ইউনিফর্ম কেনার বাস্তব অবস্থা তাদের নেই। কিন্তু তারপরও উদ্ধার হওয়া ইউনিফর্মের সঙ্গে কেএনএফের নাম ছড়িয়ে দেওয়া হলো কেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মানবিক করিডোর, রোহিঙ্গা ইস্যু, সীমান্তে আরাকান আর্মির তৎপরতা সব মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে কয়েকদিন ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় কোনো বিশেষ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে কেএনএফের নাম সামনে আনল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফ ২০ হাজার পিস ইউনিফর্মের অর্ডার দিয়েছে এটা কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য হতো। জেএসএস ইউপিডিএফের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে তারা ব্যাখ্যা দিত। কিন্তু কেএনএফকে ব্যাখ্যা দেওয়ার সক্ষমতাও এখন নেই।
তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়
কেএনএফের বিষয়টি হালকা করে দেখা হলেও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০২২ সালের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের মহড়া, দুর্গম পাহাড়ে টিকে থাকতে জীবিত পোকা-মাকড় খাওয়ার ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বম জাতি গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডও ঘটায় সংগঠনটি। কিন্তু শুরু থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে খুব একটা এগোতে পারেনি সংগঠনটি। ২০২৪ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়া শুরু করে সংগঠনটি, অপতৎপরতা কমিয়ে দেয়। আলোচনা শুরু হওয়ায় প্রশাসনও একটু নমনীয় হয়। আর এই সুযোগে ওই বছরের ৪ এপ্রিল বান্দরবানের থানচিতে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় একযোগে হামলা চালায় কেএনএফ। এরপর থেকে ফের কঠোর হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সংগঠনটি। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে আগের মতো কিছুদিন তৎপরতা থামিয়ে কেএনএফ ফের শক্তি সঞ্চয় করছে কিনা সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে তদন্তে।
এছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে পার্বত্য এলাকায়। তিন দেশের সীমান্তেই বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। যে কোনো এলাকায় নতুন কোনো সংগঠন আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করছে কি না সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল
চট্টগ্রামের অক্সিজেন নয়াহাট এলাকায় রিংভো গার্মেন্টের অবস্থান। এটি বড় কোনো গার্মেন্ট নয়। পায়ে হাঁটা গলির মধ্যে টিনসেড স্থাপনায় ৯০ থেকে ৯৫টি মেশিনে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করেন এখানকার শ্রমিকরা। গার্মেন্টের ভেতরে কথিত ইউনিফর্মের স্তূপ সোমবার দুপুরেও ছিল। গত ১৭ মে রাতে এই গার্মেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। এখান থেকেই ২০ হাজার ৩০০ পিস কেএনএফের পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় গার্মেন্টের মালিক সায়েদুল ইসলামসহ গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার নামের আরো দুজনকে। পুলিশের দাবি গোলাম আজম আর নিয়াজই মূলত মংহ্লাসিং মারমা নামের এক কেএনএফ নেতার কাছ থেকে দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার নিয়ে এসেছিল। কিন্তু মংহ্লাসিং মারমার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেও পোশাকগুলো এখনো জব্দ করা হয়নি। গার্মেন্টও সিলগালা করা হয়নি । কয়েকজন শ্রমিক জানান, ১৭ মে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় কয়েকটি পোশাক নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার পর্যন্ত কেউ কোনো তৎপরতা দেখায়নি। ঘটনা জানাজানি হবার পর দুবার পুলিশ এসেছিল পোশাকগুলো নিয়ে যেতে কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাকি থাকায় তারা সেগুলো নিতে দেয়নি। তারা জানায়, গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউনিফর্মগুলো বানানো শুরু হয়। মে মাসের শেষে পোশাকগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার একটি তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের ২০ হাজার ৩০০ পিস কথিত ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নেমেও কূল-কিনারা করতে পারেনি । ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গার্মেন্ট মালিক সায়েদুল ইসলামসহ ৩ জন গ্রেপ্তার হলেও তাদের কাছ থেকে সঠিক কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। গোয়েন্দাদের দাবি, কেএনএফের মতো ক্ষীণকায় সংগঠনকে বড় করে উপস্থাপন করে নতুন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৭ মে রাতে পোশাকগুলো উদ্ধার করা হলেও খবরটি ছড়িয়ে দেওয়া হয় ২৫ মে সকালে। এরপর থেকে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা হয় আমার দেশ’র। তারা জানায়, ইতিমধ্যে ইউনিফর্মগুলোর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দেশের কোনো সংগঠনের ইউনিফর্মের সঙ্গে মিলছে না। তাদের হিসাবে কেএনএফের সদস্য আছে মাত্র কয়েকশ’। ২০ হাজারের বেশি ইউনিফর্ম তাদের কাজে আসবে না। এছাড়া উদ্ধার হওয়া পোশাকের রঙ ও কাপড়ের ধরনের সঙ্গে আগে পাহাড়ি এলাকার অভিযানে জব্দ কেএনএফের ইউনিফর্মের কোনো মিল নেই। ইউপিডিএফ বাংলাদেশ আর্মির ইউনিফর্মের মতো ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। জেএসএস খাকি-জলপাই রঙের এক কালারের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গেও উদ্ধার হওয়া পোশাকের মিল নেই। ত্রিপুরা, মিজোরামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো যে ধরনের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে তার সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া গেলেও কাপড়ের ধরনের সঙ্গে মিলছে না একেবারেই। পাহাড়ি সংগঠনগুলো আলাদা আলাদা রঙের ইউনিফর্ম ব্যবহার করলেও কাপড়ের ধরন অনেকটা এক রকমের। সবাই মোটা কাপড়ের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে। কিন্তু গার্মেন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া পোশাকগুলো জার্সি ধরনের কাপড়।
কেএনএফের নাম এলো কেন?
নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে কেএনএফ এখন ক্ষীণকায় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জেএসএসের সঙ্গে বিরোধ থাকায় প্রকাশ্যে কর্মকাণ্ড চালাতে পারে না এটি। কিছুদিন আগে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিশে অস্তিত্ব রক্ষার একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জেএসএসের বাধায় তা সফল হয়নি। বান্দরবানের গহিন পাহাড়ে দুশ’র মতো সদস্য নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করছে সংগঠনটি। এই বাস্তবতায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ২০ হাজার ৩শ’ পিস ইউনিফর্ম কেনার বাস্তব অবস্থা তাদের নেই। কিন্তু তারপরও উদ্ধার হওয়া ইউনিফর্মের সঙ্গে কেএনএফের নাম ছড়িয়ে দেওয়া হলো কেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মানবিক করিডোর, রোহিঙ্গা ইস্যু, সীমান্তে আরাকান আর্মির তৎপরতা সব মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে কয়েকদিন ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় কোনো বিশেষ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে কেএনএফের নাম সামনে আনল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফ ২০ হাজার পিস ইউনিফর্মের অর্ডার দিয়েছে এটা কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য হতো। জেএসএস ইউপিডিএফের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে তারা ব্যাখ্যা দিত। কিন্তু কেএনএফকে ব্যাখ্যা দেওয়ার সক্ষমতাও এখন নেই।
তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়
কেএনএফের বিষয়টি হালকা করে দেখা হলেও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০২২ সালের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের মহড়া, দুর্গম পাহাড়ে টিকে থাকতে জীবিত পোকা-মাকড় খাওয়ার ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বম জাতি গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডও ঘটায় সংগঠনটি। কিন্তু শুরু থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে খুব একটা এগোতে পারেনি সংগঠনটি। ২০২৪ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়া শুরু করে সংগঠনটি, অপতৎপরতা কমিয়ে দেয়। আলোচনা শুরু হওয়ায় প্রশাসনও একটু নমনীয় হয়। আর এই সুযোগে ওই বছরের ৪ এপ্রিল বান্দরবানের থানচিতে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় একযোগে হামলা চালায় কেএনএফ। এরপর থেকে ফের কঠোর হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সংগঠনটি। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে আগের মতো কিছুদিন তৎপরতা থামিয়ে কেএনএফ ফের শক্তি সঞ্চয় করছে কিনা সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে তদন্তে।
এছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে পার্বত্য এলাকায়। তিন দেশের সীমান্তেই বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। যে কোনো এলাকায় নতুন কোনো সংগঠন আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করছে কি না সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল
চট্টগ্রামের অক্সিজেন নয়াহাট এলাকায় রিংভো গার্মেন্টের অবস্থান। এটি বড় কোনো গার্মেন্ট নয়। পায়ে হাঁটা গলির মধ্যে টিনসেড স্থাপনায় ৯০ থেকে ৯৫টি মেশিনে সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করেন এখানকার শ্রমিকরা। গার্মেন্টের ভেতরে কথিত ইউনিফর্মের স্তূপ সোমবার দুপুরেও ছিল। গত ১৭ মে রাতে এই গার্মেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। এখান থেকেই ২০ হাজার ৩০০ পিস কেএনএফের পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় গার্মেন্টের মালিক সায়েদুল ইসলামসহ গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার নামের আরো দুজনকে। পুলিশের দাবি গোলাম আজম আর নিয়াজই মূলত মংহ্লাসিং মারমা নামের এক কেএনএফ নেতার কাছ থেকে দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার নিয়ে এসেছিল। কিন্তু মংহ্লাসিং মারমার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেও পোশাকগুলো এখনো জব্দ করা হয়নি। গার্মেন্টও সিলগালা করা হয়নি । কয়েকজন শ্রমিক জানান, ১৭ মে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় কয়েকটি পোশাক নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার পর্যন্ত কেউ কোনো তৎপরতা দেখায়নি। ঘটনা জানাজানি হবার পর দুবার পুলিশ এসেছিল পোশাকগুলো নিয়ে যেতে কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাকি থাকায় তারা সেগুলো নিতে দেয়নি। তারা জানায়, গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউনিফর্মগুলো বানানো শুরু হয়। মে মাসের শেষে পোশাকগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৫ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৬ ঘণ্টা আগে