জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আওয়ামী দোসরমুক্ত হলেও পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারীরা গত ৩ মে পুনরায় দখল করে নিয়েছে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব। এরপর থেকেই সাংবাদিকদের দ্বিতীয় আবাসস্থল রূপ নেয় ইয়াবা সেবনকারীদের আস্তানা ও এক ভয়ংকর টর্চার সেল। এখানে প্রতিনিয়ত জিম্মি করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ভিন্ন জেলার নিরীহ লোকদের। তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন এমনকি অনেকের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে মোট অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে।
গত সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইপ পিটারকে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব টর্চার সেলে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে স্থানীয় একদল ছাত্র-জনতা ক্লাব অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর প্রেসক্লাবের ভিতরে নিচতলায় চলা দীর্ঘদিনের গোপন টর্চার সেলের লোমহর্ষক চিত্র প্রকাশ্যে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়মিত চলতো মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন। একইসঙ্গে ভিন্ন জেলার নিরীহ লোকদের এবং এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের ওপর চালানো হতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এসব অপকর্ম থেকে আদায়কৃত মুক্তিপণের অর্থ যেত প্রেসক্লাব দখলে রাখা আওয়ামী সাংবাদিকদের পকেটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান জানান, প্রেসক্লাবের ভিতরে একজনকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালান এএসআই রাশেদুল আলম। তিনি বলেন, মার্কেটের দারোয়ানকে ডেকে গেট খুলে ক্লাবে প্রবেশ করি। তখন দেখি সবাই পালিয়ে গেছে। ভেতরে মাদক ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম দেখতে পাই। এসবের ছবি ও ভিডিও আমি ফোরকান আবুকে পাঠিয়েছি।
জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার পাওয়া সেই পাইপ পিটার জানান, আমাকে প্রথমে প্রেসক্লাবের ওপরের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিচতলায় এনে মুক্তিপণ দাবি করে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমাকে ফোন দিয়ে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়। তখন আমি কৌশলে ‘প্রেস’ শব্দটি উচ্চারণ করি, যাতে আমার স্বজনরা বুঝতে পারেন আমি কোথায় আছি।
তিনি বলেন, রাতে পুলিশ প্রেসক্লাবে প্রবেশ করলে দুইজন জিম্মিকারী সেখানে থেকে যায়, বাকিরা একটি রুমে পালিয়ে ছিল। তারা নিজেদের প্রেসক্লাবের দারোয়ান পরিচয় দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরও আমি নিচতলার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। পরে ১৫-২০ জনের একদল ছাত্র-জনতা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
আলী মার্কেটের এক চা দোকানদার খোকন জানান, পুলিশ আসলে আমি মার্কেটের গেটের তালা খুলে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদারও নিশ্চিত করেছেন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে ইয়াবা সেবন এবং মারধরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
তাদের ভাষ্য, এখানে আগে অনেককেই এনে পিটানো হয়েছে, কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে উপজেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব প্রতিক্রিয়া জানান সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী মহল। তারা এক কণ্ঠে দাবি তুলেছেন প্রেসক্লাব থেকে আওয়ামীপন্থী দখলদার সাংবাদিকদের ও সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করে সেটিকে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তারা বলছেন, প্রেস ক্লাব যেন আর কারও টর্চার সেল না হয়ে, সাংবাদিকদের মর্যাদাপূর্ণ ঠিকানা হয় এখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দরকার।
বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আওয়ামী দোসরমুক্ত হলেও পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারীরা গত ৩ মে পুনরায় দখল করে নিয়েছে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব। এরপর থেকেই সাংবাদিকদের দ্বিতীয় আবাসস্থল রূপ নেয় ইয়াবা সেবনকারীদের আস্তানা ও এক ভয়ংকর টর্চার সেল। এখানে প্রতিনিয়ত জিম্মি করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ভিন্ন জেলার নিরীহ লোকদের। তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন এমনকি অনেকের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে মোট অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে।
গত সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইপ পিটারকে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব টর্চার সেলে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে স্থানীয় একদল ছাত্র-জনতা ক্লাব অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর প্রেসক্লাবের ভিতরে নিচতলায় চলা দীর্ঘদিনের গোপন টর্চার সেলের লোমহর্ষক চিত্র প্রকাশ্যে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়মিত চলতো মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন। একইসঙ্গে ভিন্ন জেলার নিরীহ লোকদের এবং এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের ওপর চালানো হতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এসব অপকর্ম থেকে আদায়কৃত মুক্তিপণের অর্থ যেত প্রেসক্লাব দখলে রাখা আওয়ামী সাংবাদিকদের পকেটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান জানান, প্রেসক্লাবের ভিতরে একজনকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালান এএসআই রাশেদুল আলম। তিনি বলেন, মার্কেটের দারোয়ানকে ডেকে গেট খুলে ক্লাবে প্রবেশ করি। তখন দেখি সবাই পালিয়ে গেছে। ভেতরে মাদক ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম দেখতে পাই। এসবের ছবি ও ভিডিও আমি ফোরকান আবুকে পাঠিয়েছি।
জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার পাওয়া সেই পাইপ পিটার জানান, আমাকে প্রথমে প্রেসক্লাবের ওপরের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিচতলায় এনে মুক্তিপণ দাবি করে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমাকে ফোন দিয়ে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়। তখন আমি কৌশলে ‘প্রেস’ শব্দটি উচ্চারণ করি, যাতে আমার স্বজনরা বুঝতে পারেন আমি কোথায় আছি।
তিনি বলেন, রাতে পুলিশ প্রেসক্লাবে প্রবেশ করলে দুইজন জিম্মিকারী সেখানে থেকে যায়, বাকিরা একটি রুমে পালিয়ে ছিল। তারা নিজেদের প্রেসক্লাবের দারোয়ান পরিচয় দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরও আমি নিচতলার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। পরে ১৫-২০ জনের একদল ছাত্র-জনতা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
আলী মার্কেটের এক চা দোকানদার খোকন জানান, পুলিশ আসলে আমি মার্কেটের গেটের তালা খুলে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদারও নিশ্চিত করেছেন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে ইয়াবা সেবন এবং মারধরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
তাদের ভাষ্য, এখানে আগে অনেককেই এনে পিটানো হয়েছে, কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে উপজেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব প্রতিক্রিয়া জানান সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী মহল। তারা এক কণ্ঠে দাবি তুলেছেন প্রেসক্লাব থেকে আওয়ামীপন্থী দখলদার সাংবাদিকদের ও সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করে সেটিকে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তারা বলছেন, প্রেস ক্লাব যেন আর কারও টর্চার সেল না হয়ে, সাংবাদিকদের মর্যাদাপূর্ণ ঠিকানা হয় এখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দরকার।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে