রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক উন্নয়নে বরাদ্দ ২৪২ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০২

কক্সবাজারের রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি ১২ কিলোমিটার সড়কটি যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সড়কের বেশির ভাগই খানাখন্দে ভরা ছাড়াও তিনটি সেতু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটি দুই উপজেলার বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র সড়ক।

এছাড়া এই সড়ক দিয়ে চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গাড়িও। সম্প্রতি এর উন্নয়নে ২৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ হয়েছে। বান্দরবান সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন আমার দেশকে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে এই সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্থ। এই সড়ক দিয়ে পূরবী বাস, বড় কাঠ বহনকারী ট্রাক এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবির সদস্যের খাদ্য, অস্ত্র, গোলা-বারুদসহ যান চলাচল করে। তাদের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানের প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। অপরদিকে দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজটের কবলে পড়তে হয়। দুই-চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় মানুষের পায়ে হাঁটাও মুশকিল হয়ে পড়ে।

এখানকার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এই সড়কটি সম্প্রসারণ করে সেতুগুলো নতুন ভাবে নির্মাণে সাধারণ মানুষের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর পর খুশির খবর জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।

বান্দরবান সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের উন্নয়ন ও নতুন করে তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য ২৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে সম্প্রতি পাশ হয়েছে। একনেকে পাশ হওয়া ৮৯০ কোটি টাকার মধ্যে বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের তিনটি সড়কের উন্নয়ন হবে। যার একটি রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি সবার সহযোগিতাও কামনা করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস জানান, বিজিবি জওয়ানরা বিভিন্ন অপারেশন গেলে তাদের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই তিনিও সড়কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জোর সুপারিশ করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ বলেন, এই সড়কটির উন্নয়ন হলে আশপাশের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এটা অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

সুত্র মতে, এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন ছয়টি ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৪০ হাজারের বেশি। বিশেষ করে রামুর শস্য ভাণ্ডারখ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নসহ সীমান্তের ছয়টি ইউনিয়নের উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহার হচ্ছে সড়কটি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত