
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম–৮ (বাকলিয়া–বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনি প্রচারণার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা গুলিবিদ্ধি হয়ে মারা গেছেন। এরশাদ উল্লাহকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নগরের বায়েজিদ থানার চাইল্লাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। এরশাদ উল্লাহ নগর বিএনপির আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এরশাদ উল্লাহ তার নির্বাচনি কার্যালয় থেকে কর্মীদের সঙ্গে প্রচারণায় বের হন। হামজারবাগ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলাও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। ভিডিওতে দেখা গেছে, তার মাথা থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হচ্ছে। তার পরনে ছিল টিশার্ট, প্যান্ট আর সাদা জুতা। গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সড়কে জনশূন্যতা দেখা দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বাবলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেছেন, এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই ঘটনায় সরোয়ার বাবলা নামে একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, এরশাদ উল্লাহর পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করেন। দলটির পক্ষ থেকে হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয়েছে।
কে এই সরোয়ার হোসেন বাবলা?
সরওয়ার হোসেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসে সরওয়ার। একই বছরের ৬ জুলাই বায়জিদ এলাকা থেকে তাকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ।
গত ২৯ মার্চ দিনগত রাত দুইটার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি করে মো. আব্দুল্লাহ আল রিফাত ও মো. বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিক নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আরেক সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ জড়িত থাকার অভিযোগ করে নিহতদের পরিবার। ওই ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোও বড় সাজ্জাদ ছোট সাজ্জাদকে দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলাও বড় সাজ্জাদের সঙ্গে কাজ করত। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে বাবলা বেরিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা বনে যায়। বড় সাজ্জাদের ইশারায় ছোট সাজ্জাদ একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে। চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, হত্যাকাণ্ড, খুনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সরোয়ার হোসেন বাবলা বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গ্রুপে কাজ করতে দেখা গেছে। আজকের নির্বাচনি প্রচারণায় এরশাদ উল্লাহ তাকে সঙ্গে রাখেন।

চট্টগ্রাম–৮ (বাকলিয়া–বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনি প্রচারণার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা গুলিবিদ্ধি হয়ে মারা গেছেন। এরশাদ উল্লাহকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নগরের বায়েজিদ থানার চাইল্লাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। এরশাদ উল্লাহ নগর বিএনপির আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এরশাদ উল্লাহ তার নির্বাচনি কার্যালয় থেকে কর্মীদের সঙ্গে প্রচারণায় বের হন। হামজারবাগ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলাও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। ভিডিওতে দেখা গেছে, তার মাথা থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হচ্ছে। তার পরনে ছিল টিশার্ট, প্যান্ট আর সাদা জুতা। গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সড়কে জনশূন্যতা দেখা দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বাবলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেছেন, এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই ঘটনায় সরোয়ার বাবলা নামে একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, এরশাদ উল্লাহর পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করেন। দলটির পক্ষ থেকে হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয়েছে।
কে এই সরোয়ার হোসেন বাবলা?
সরওয়ার হোসেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসে সরওয়ার। একই বছরের ৬ জুলাই বায়জিদ এলাকা থেকে তাকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ।
গত ২৯ মার্চ দিনগত রাত দুইটার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি করে মো. আব্দুল্লাহ আল রিফাত ও মো. বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিক নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আরেক সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ জড়িত থাকার অভিযোগ করে নিহতদের পরিবার। ওই ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোও বড় সাজ্জাদ ছোট সাজ্জাদকে দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলাও বড় সাজ্জাদের সঙ্গে কাজ করত। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে বাবলা বেরিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা বনে যায়। বড় সাজ্জাদের ইশারায় ছোট সাজ্জাদ একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে। চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, হত্যাকাণ্ড, খুনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সরোয়ার হোসেন বাবলা বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গ্রুপে কাজ করতে দেখা গেছে। আজকের নির্বাচনি প্রচারণায় এরশাদ উল্লাহ তাকে সঙ্গে রাখেন।

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাসের ধাক্কায় মারুফ (৩২) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুলপুর পৌর এলাকার চেরাগ আলী রাইসমিলের কাছে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জাতীয় সংকটময় মুহূর্তে সকল রাজনৈতিক দলের আলোচনায় বসা জরুরি। বিশেষ করে যখন দেশ নির্বাচনমুখী এবং রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল।
৩৭ মিনিট আগে
“একজন মেয়েশিশু যদি আর্থিক অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারে, সেটি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। দুইজন প্রমিলা ফুটবলার আমার কাছে এসেছিল। তাদের মাধ্যমে আরও কয়েকজন আর্থিক সংকটে থাকা খেলোয়াড়ের কথা জেনেছি। তাদেরও সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।”
১ ঘণ্টা আগে
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হামজারবাগ চাইল্লাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেন। পরে গণসংযোগ করে সবার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। হঠাৎ গলির দিক থেকে মোটরসাইকেলের শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে