• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> সারা দেশ
> চট্টগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে চট্টগ্রামজুড়ে উচ্ছ্বাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৪
logo
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে চট্টগ্রামজুড়ে উচ্ছ্বাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৪

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সোমবার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরে যেন অন্যরকম এক আবহ। আদালতের কাঠগড়া ঢাকায় কিন্তু রায়ের ঢেউ এসে লেগেছে জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট আর লালখানবাজার পর্যন্ত। কোথাও ফোনের পর্দায় চোখ, কোথাও হঠাৎ স্লোগান, কোথাও মিষ্টির দোকানে বাড়তি ভিড়।

এই উচ্ছ্বাসের মাঝেই শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারগুলোর চোখে জল। কিন্তু সেই জলে আজ শুধু শোক না আছে স্বস্তি আর ন্যায়ের আশ্বাসও।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে জিইসি মোড়ে কয়েকজন তরুণ পথের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলের স্ক্রল দেখছিলেন। কোনো এক অনলাইন টিভির লাইভে রায়ের সারসংক্ষেপ চলছিল। হঠাৎ এক তরুণ দু’হাত উঁচু করে বলে উঠলেন, এইটা রাষ্ট্রের বিচার, দেশের বিচার! এতদিন যে রক্ত পড়ছে, তারও হিসাব আছে। তার নাম আবু বকর। একজন অনলাইন উদ্যোক্তা।

তার চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন রিকশাচালক, দোকানদার, পথচারী থেমে যান। পাশে দাঁড়ানো এক মধ্যবয়স্ক লোক। আবুল কাশেম নামে ওই লোক বলেন, আমরা তো ভাবছিলাম, এসব মামলা শুধু দেখানোর জন্য। আজ বুঝলাম, জনতার রক্তের দাম আছে।

আরেক তরুণ মিনহাজ উদ্দিন যোগ করেন, শান্ত–ওয়াসিমের মতো কত যুবক মারা গেছে। অন্তত তাদের জন্য বলতে পারব-দেশ চুপ করে ছিল না।

দুই নম্বর গেট এলাকার সামনের সড়কে তখন অফিসগামী ভিড়। একটি গণপরিবহনের জানালার ভেতর থেকে হঠাৎ কয়েকজন যুবক স্লোগান দেন, বিচার হল, বিচার হল! রাস্তার পাশে চা পান করতে থাকা এক বৃদ্ধ সামনে এগিয়ে এসে বলেন, অনেক দেখছি, বাচ্চা ছেলেদের গুলি খেতে দেখছি, মায়েদের কাঁদতে দেখছি। আজ মনে হচ্ছে, একটু দম নিতে পারি।

বহদ্দারহাটের আন্ডারপাসের পাশের ফুটপাতে হঠাৎ দেখা গেল একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে। হাতে ব্যাগ, কাঁধে ক্লাসের বই। কিন্তু মুখে স্লোগান, শান্ত–ওয়াসিম, তোমরা অমর’ ‘ন্যায়ের জয় হলো, রক্তের দাম মিললো’ ‘রায় হলো-এবার বাস্তবায়ন চাই।

ওই শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, আমরা নিজের চোখে দেখেছি বন্ধুরা কীভাবে গুলিতে পড়েছে, কীভাবে হোস্টেলে গিয়ে গাড়ি ভেঙে, রুমে ঢুকে পিটিয়েছে। আজকের রায় আমাদের প্রজন্মের জন্য একটা বার্তা—রক্ত ঝরলে, একদিন তার বিচার হয়।

আরেকজন যোগ করেন, এটা শুধু দুইটা পরিবারের বিচার না, পুরো একটা প্রজন্মের ওপর চালানো দমনের বিরুদ্ধে রায়।

সোমবার বিকেলে লালখানবাজারের মোড়ে একটি পুরোনো মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ভিড় একটু বেশি। কেউ এক কেজি রসমালাই, কেউ আধা কেজি জিলাপি, কেউ আবার শুধু দুই-তিনটা সন্দেশ নিয়ে যাচ্ছেন।

দোকানির ভাষায়, সাধারণত সোমবারে এমন ভিড় হয় না। আজকে অনেকে আইসা দুইশ–তিনশ টাকার মিষ্টি নিচ্ছে। জিগাইলাম, কিসের খুশি? কইলো, শহীদের বিচার হইছে, মিষ্টি খাওয়াইতে আইছি। একজন ক্রেতা মিষ্টি হাতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, আমার আত্মীয়ের ছেলে ছিল আন্দোলনের মধ্যে। আজকে মনে হচ্ছে, আমরা তার কাছে একটু মুখ উঁচু করে দাঁড়াইতে পারব।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সোমবার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরে যেন অন্যরকম এক আবহ। আদালতের কাঠগড়া ঢাকায় কিন্তু রায়ের ঢেউ এসে লেগেছে জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট আর লালখানবাজার পর্যন্ত। কোথাও ফোনের পর্দায় চোখ, কোথাও হঠাৎ স্লোগান, কোথাও মিষ্টির দোকানে বাড়তি ভিড়।

বিজ্ঞাপন

এই উচ্ছ্বাসের মাঝেই শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারগুলোর চোখে জল। কিন্তু সেই জলে আজ শুধু শোক না আছে স্বস্তি আর ন্যায়ের আশ্বাসও।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে জিইসি মোড়ে কয়েকজন তরুণ পথের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলের স্ক্রল দেখছিলেন। কোনো এক অনলাইন টিভির লাইভে রায়ের সারসংক্ষেপ চলছিল। হঠাৎ এক তরুণ দু’হাত উঁচু করে বলে উঠলেন, এইটা রাষ্ট্রের বিচার, দেশের বিচার! এতদিন যে রক্ত পড়ছে, তারও হিসাব আছে। তার নাম আবু বকর। একজন অনলাইন উদ্যোক্তা।

তার চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন রিকশাচালক, দোকানদার, পথচারী থেমে যান। পাশে দাঁড়ানো এক মধ্যবয়স্ক লোক। আবুল কাশেম নামে ওই লোক বলেন, আমরা তো ভাবছিলাম, এসব মামলা শুধু দেখানোর জন্য। আজ বুঝলাম, জনতার রক্তের দাম আছে।

আরেক তরুণ মিনহাজ উদ্দিন যোগ করেন, শান্ত–ওয়াসিমের মতো কত যুবক মারা গেছে। অন্তত তাদের জন্য বলতে পারব-দেশ চুপ করে ছিল না।

দুই নম্বর গেট এলাকার সামনের সড়কে তখন অফিসগামী ভিড়। একটি গণপরিবহনের জানালার ভেতর থেকে হঠাৎ কয়েকজন যুবক স্লোগান দেন, বিচার হল, বিচার হল! রাস্তার পাশে চা পান করতে থাকা এক বৃদ্ধ সামনে এগিয়ে এসে বলেন, অনেক দেখছি, বাচ্চা ছেলেদের গুলি খেতে দেখছি, মায়েদের কাঁদতে দেখছি। আজ মনে হচ্ছে, একটু দম নিতে পারি।

বহদ্দারহাটের আন্ডারপাসের পাশের ফুটপাতে হঠাৎ দেখা গেল একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে। হাতে ব্যাগ, কাঁধে ক্লাসের বই। কিন্তু মুখে স্লোগান, শান্ত–ওয়াসিম, তোমরা অমর’ ‘ন্যায়ের জয় হলো, রক্তের দাম মিললো’ ‘রায় হলো-এবার বাস্তবায়ন চাই।

ওই শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, আমরা নিজের চোখে দেখেছি বন্ধুরা কীভাবে গুলিতে পড়েছে, কীভাবে হোস্টেলে গিয়ে গাড়ি ভেঙে, রুমে ঢুকে পিটিয়েছে। আজকের রায় আমাদের প্রজন্মের জন্য একটা বার্তা—রক্ত ঝরলে, একদিন তার বিচার হয়।

আরেকজন যোগ করেন, এটা শুধু দুইটা পরিবারের বিচার না, পুরো একটা প্রজন্মের ওপর চালানো দমনের বিরুদ্ধে রায়।

সোমবার বিকেলে লালখানবাজারের মোড়ে একটি পুরোনো মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ভিড় একটু বেশি। কেউ এক কেজি রসমালাই, কেউ আধা কেজি জিলাপি, কেউ আবার শুধু দুই-তিনটা সন্দেশ নিয়ে যাচ্ছেন।

দোকানির ভাষায়, সাধারণত সোমবারে এমন ভিড় হয় না। আজকে অনেকে আইসা দুইশ–তিনশ টাকার মিষ্টি নিচ্ছে। জিগাইলাম, কিসের খুশি? কইলো, শহীদের বিচার হইছে, মিষ্টি খাওয়াইতে আইছি। একজন ক্রেতা মিষ্টি হাতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, আমার আত্মীয়ের ছেলে ছিল আন্দোলনের মধ্যে। আজকে মনে হচ্ছে, আমরা তার কাছে একটু মুখ উঁচু করে দাঁড়াইতে পারব।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশচট্টগ্রামশহীদ ওয়াসিম আকরাম
সর্বশেষ
১

উগান্ডাকে হারিয়ে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

২

হাসিনার গড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আলোচিত যত রায়

৩

আইরিশদের ভরসা স্পিন

৪

এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

৫

হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে রায় কার্যকরের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার

জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি কক্সবাজারের প্রথম শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার। এ বিচারের মাধ্যমে আজ সত্যের জয় হয়েছে। শুধু ফাঁসির রায় হলেই হবে না। ভারতে পলাতক খুনি হাসিনাকে ধরে এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রায় কার্যকর করতে হবে।

৩৩ মিনিট আগে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে গফরগাঁওয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণার পর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি।

১ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর বাগেরহাট সদর, রামপাল,কচুয়া, মোড়েলগঞ্জে আনন্দ মিছিল হয়েছে।

১ ঘণ্টা আগে

‎হাসিনার রায়ের পর রায়পুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

‎মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উত্তেজনা ও উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে আহত, নিহত ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা এ রায়কে স্বাগত

১ ঘণ্টা আগে
হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার

হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে গফরগাঁওয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে গফরগাঁওয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল

‎হাসিনার রায়ের পর রায়পুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

‎হাসিনার রায়ের পর রায়পুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ