Ad T1

মাকে সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন পলাশ, আপত্তি ছিল স্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৬: ২৪

২ বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ার সুস্মিতা সাহার সঙ্গে র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশের বিয়ে হয়।

বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রতিদিন পলাশের মায়ের সঙ্গে ঠুনকো বিষয় নিয়ে ঝগড়ায় লেগে থাকতো তার স্ত্রীর।

শাশুড়িকে গ্রামের রেখে শুধু পলাশকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতে চেয়েছিলেন সুস্মিতা সাহা। কিন্তু পলাশ চেয়েছিলেন মা তার সাথেই থাকবে। এতে বিপত্তি বাঁধে তার স্ত্রীর।

প্রায়ই মায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করে পলাশকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতেন সুস্মিতা।

সর্বশেষ গত বুধবার সকালে কলহের জের ধরে তার মা ও ভাইয়ের গায়ে হাত তুলে সুস্মিতা। ওই সময় পলাশ ছিলেন অফিসে।

কলহের খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার একপর্যায়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে ধারণা। এমনটাই জানিয়েছেন পলাশের মেজ ভাই নন্দ লাল সাহা।

এর আগে, গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও ক্যাম্প থেকে পলাশ সাহা লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার কানের পাশে একটি গর্তের মতো চিহ্ন রয়েছে, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এটি গুলির আঘাত কি না, তা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

নিহত পলাশ সাহা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে।

চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, ‘বহদ্দারহাট ক্যাম্পে কর্মরত এএসপি পলাশ সাহা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

অস্ত্র ইস্যু করে তিনি নিজের অফিস রুমে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর একটি শব্দ শুনে কর্তব্যরত অন্য র‍্যাব সদস্যরা তার কক্ষে যান এবং তাকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত