অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান দাবি

উপজেলা প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৫, ০৯: ১৬

কক্সবাজারের উখিয়া যুবদল নেতা আনোয়ার সিকদার অপহরণকারীদের কাছ থেকে মূর্মর্ষ অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান দাবি করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার সিকদার বলেন, ‘গত ৮ জুন রাত ১২টার দিকে উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের পাশে আমাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।’

তিনি আরও জানান, ‘এই খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ঘটনার সময় আমি অচেতন থাকায় পরবর্তীতে জ্ঞান ফেরার পর এসব বিষয়ে অবগত হই।’

ঘটনার পরদিন আনোয়ার সিকদারের বড় ভাই সরওয়ার সিকদার উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বৈরাচারী সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং মাদক কারবারে জড়িত অবৈধ সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াবা গডফাদার আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ জড়িত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

আনোয়ার সিকদার বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যারা আমাকে অপহরণ করেছে, তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করেছি। কিন্তু আজ যারা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তারাই আমাকে টার্গেট করেছে। এই হামলা শুধু আমার উপর নয়, পুরো যুবদলের উপর হামলা। অবিলম্বে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসী, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার জীবনের নিরাপত্তা, আমার পরিবারের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়—সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত