সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটার অপরাধে একজনকে অর্থদণ্ড

উপজেলা প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০১: ০৬

সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটার অপরাধে অমিত আইচ নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর।

রোববার ফৌজদারহাট লিংক রোড এলাকায় বিকেল ৩টায় পাহাড় কাটার সংবাদে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, রোববার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট বায়েজীদ লিংক রোড এলাকায় পাহাড় কাটার সংবাদে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অমিত আইচ নামক এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ভবিষ্যতে পাহাড় কাটবেনা এই মর্মে তার কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়।

সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দিন এবং সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বাঁশবাড়িয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাহাড়ে কাউসার জামান নামে ব্যক্তি স্থানীয় বিএনপি এক প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে ছোট ছোট পাহাড় কাটছে। তাছাড়াও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে প্রভাবশালী বিভিন্ন কারখানার মালিকরা পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রভাবশালী বিভিন্ন কারখানার মালিকরা ফ্যাক্টরি করতে শত শত একর পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেললেও এদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যেসব কারখানার মালিকরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে পাহাড় কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসন পরিবেশ আইনি ব্যবস্থা নিলে পাহাড় কাটা বন্ধ হবে।

উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে মোস্তফা হাকিম গ্রুপের গোল্ডেন ব্রিকস ও গোল্ডেন ইস্পাত কারখানার পূর্বে, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকায় জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার পূর্বে, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের আনোয়ারা জুট মিল এলাকায় কেএসআরএম কারখানার পূর্বে এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের হাফিজ জুট মিলের পূর্ব পাশে বিভিন্ন কারখানার মালিকানা পাহাড় কেটে রাবার ড্যাম তৈরি করেছে। পরিবেশ রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এসব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয়রা দাবি করছেন।

সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের মাটি কেটেছে। তলদেশ থেকে মাটি কেটে সরিয়ে ফেলায় সেখানে বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় সেখানে মাটিও কেটে খালের অংশ ভরাট করেছে। যেটা অন্যায়। যেই অন্যায়ের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযোগ দাখিল করলে সেটি আমলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অন্য কোথাও পাহাড় কাটলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত