৪ লাখ টাকার ওষুধ ৫১ লাখে ক্রয়

কুমিল্লা মেডিক্যালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ২২
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩১

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ লাখ টাকার ওষুধ ৫১ লাখ টাকায় কেনার অভিযোগে পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে নিপীড়িত নাগরিক সমাজ, ছাত্রজনতা ও সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এমএসআর গ্রুপে ইনজেকশন পেনটোথাল সোডিয়াম এক গ্রাম (পানিসহ) চার হাজার ভায়েল কেনা হয়েছে প্রতিটি ১,২৯৯ টাকা দরে। অথচ বাজারমূল্য মাত্র ১০১ টাকা। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ এমআরপি মূল্যের মধ্যে ক্রয় করার কথা।

অভিযোগকারীরা বলেন, হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ, তার প্রধান সহকারী দেলোয়ার হোসেন এবং ড্যাব কুমিল্লা মহানগর সভাপতি এমএম হাসান এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অনিয়ম ও দালালদের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, এবি পার্টির আহ্বায়ক গোলাম মো. সামদানীসহ ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক মাসুদ পারভেজ দাবি করেন, ‘এটি প্রিন্টিং মিসটেক।’

তবে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আবুল খায়ের জানান, ‘আমাকে কিছু না দেখিয়েই পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন। এভাবে ভুল হওয়া সম্ভব নয়।” সহকারী পরিচালক ডা. নিশাত সুলতানাও বলেন, “এমন প্রিন্টিং মিসটেক স্বাভাবিক নয়।’

এ প্রসঙ্গে অধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘প্রিন্টিং মিসটেক বলে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। এটি দুর্নীতি আড়াল করার চেষ্টা।’

ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে তদন্তকারী দল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে সরেজমিন তদন্ত করেন। বিষয়টি ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নজরে এসেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত