মরণফাঁদ নোয়াখালীর সড়ক-মহাসড়ক, দেড় মাসে নিহত ১৭

ইয়াকুব নবী ইমন, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী)
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৯

নোয়াখালীর সড়ক-মহাসড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দেড় মাসে জেলার বিভিন্ন সড়কে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনসহ মোট ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টদের মতে, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, প্রতিযোগিতামূলক ড্রাইভিং এবং সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

১৭ সেপ্টেম্বর সোনাইমুড়ী বাইপাসে যাত্রীবাহী ‘একুশে এক্সপ্রেস’ বাস দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা দিলে চালক-হেলপার নিহত হন, আহত হন আরও ৩০ জন।

১১ সেপ্টেম্বর চৌমুহনীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দু’তরুণ মারা যান।

৬ আগস্ট সকালে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর সড়কের চন্দ্রগঞ্জে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে একই পরিবারের ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।

এ ছাড়া গত দেড় মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে আরও অন্তত ৭টি বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে। তবে সবাইকে সচেতন হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের কাজ সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা। দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন সংস্থা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো পরিবারগুলো বলছে, মামলা করতে গেলেও প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তারা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত