নদীতে গোসলে নেমে তলিয়ে যায় ৩ বোন, ১ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ২২: ০৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায় তিন বোন। এর মধ্যে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ডুবুরি দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, স্থানীয়দের সহায়তায় অন্য দুই বোনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নিহত কিশোরীর নাম পিংকি মনি (১৫)। সে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির ছাত্রী। জীবিত উদ্ধার হওয়া তার অন্য দুই বোন—আসমা (১৬) ও তাসফিয়া (১২) দশম ও ষষ্ঠ শ্রেণির একই স্কুলের শিক্ষার্থী। পিংকি ছিল তাদের খালাতো বোন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে, চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীরচর এলাকার বাসিন্দা আবছার উদ্দিনের দুই মেয়ে আসমা আক্তার ও তাসফিয়া, এবং তাদের খালাতো বোন পিংকি মনিসহ সবাই মাতামুহুরী ব্রিজের পাশে নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের সময় হঠাৎ করেই তিনজনেই স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে থাকে।

নদীর অপর পাশ থেকে স্থানীয় লোকজন দ্রুত সাঁতরে এসে আসমা ও তাসফিয়াকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পিংকি তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে মাছ ধরার জাল দিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও সফল হননি। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে।

দীর্ঘ তল্লাশির পর বিকাল ৫টার দিকে ডুবুরি দল একই স্থান থেকে পিংকি মনির মরদেহ উদ্ধার করে। চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার দিদারুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের সহায়তায় ডুবুরি দল নিখোঁজ কিশোরীর মরদেহ খুঁজে পায়।

চকরিয়ার বদরখালী নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত