চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী উদ্ধারে অভিযান: ইউপিডিএফ আস্তানার সন্ধান

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ২২

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থী এবং তাদের বহনকারী টমটম চালককে উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।

বিজ্ঞাপন

অপহরণের ৬ষ্ঠ দিন সোমবার ভোরে সুরেন্দ্র কারবারী পাড়া এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে। এ সময় যৌথবাহিনী ইউপিডিএফ এর একটি আস্তানার সন্ধান পায়। ঐ আস্তানায় তাদের প্রচারপত্র, পোশাক ও রশদসহ দলিল দন্তাবেজ পাওয়া গেছে।

এ সময় ৭ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ঐ সূত্রটি অপহৃত উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।

৫ শিক্ষার্থী উদ্ধারে রোববার খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় আদিবাসী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র ছাত্রীরা।

গত কয়েকদিন ধরে তাদের উদ্ধারে জেলা শহরের গিরিফুল, শিব মন্দির, রাবার বাগান, জেলা শহরের পানখাইয়াপাড়া, মধুপুর, এপিবিএন, তেতুলতলা ও পেরাছড়া এলাকা তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেও অপহৃত উদ্ধার কিংবা তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ছয়দিন পার হলেও অপহৃত উদ্ধার কিংবা তাদের কোনো হদিস না পাওয়ায় পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মধ্য উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত (সন্তু লারমা) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য ও চবি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমাসহ ছয় জনকে ইউপিডিএফকে (প্রসীত) গ্রুপ অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। অপহরণের শিকার বাকি শিক্ষার্থীরা হলো চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা এবং তাদের বহনকারী টমটমের চালক। অপহৃত সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে অপহরণের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত