অনিয়মে তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
মেঘনা পেট্রোলিয়ামে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার। গত তিন দিন ধরে প্রধান কার্যালয়সহ দেশের সবকটি ডিপোতে এই অনিয়মের প্রতিবাদের কর্মসূচি পালন করে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা। অবশেষে কর্মচারীদের দাবি মেনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
বুধবার বিকেলে বিপিসি’র পরিচালক (অর্থ) নাজনীন পারভিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগ আমলের পুরোটা সময়জুড়ে কোনো নিয়োগ হয়নি রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় তেল বিপণনের এই প্রতিষ্ঠান। তাই কোম্পানির সরাসরি নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। ঠিকাদারদের অধীন চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে জ্বালানি খাতের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় কাজ চলে গেছে বহিরাগতদের হাতে। আর এই কাজটি করা হয়েছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে। একদিকে যেমন সরাসরি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রফিট বোনাস ফান্ড থেকে লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে কর্মকর্তা কর্মচারীদের লাভের টাকা বাড়ছে। গত অর্থবছরে প্রতিজন কর্মকর্তা কর্মচারী শুধু লভ্যাংশ থেকে ১২ লাখ টাকা করে পেয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ায় সরকার সংশ্লিষ্টরাও লাভবান হচ্ছে। আবার ঠিকাদারের অধীন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যা যত বাড়ছে জ্বালানীখাতের ওপর আওয়ামী প্রভাব ততটায় বেড়েছে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১৪৭টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ৪ জুলাই ঢাকার বিআইএমের অধীন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের ১৭ হাজার চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেয়। রেজাল্টে ৯৮১ জন পাশ করেন। কিন্তু রেজাল্ট শিট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। প্রকাশিত ফলাফলে এমন অন্তত ১৮ জনকে পাশ দেখানো হয়েছে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেনি। সম্প্রতি নিয়োগ বোর্ডের প্রধানকে দেয়া লিখিত আবেদনে এই অভিযোগ করেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এরমধ্যে পাম্প অপারেটর পদে চারজন, অদক্ষ জনবল পদে চারজন, পিয়ন একজন, সিকিউরিটি ৮ জন ও ফায়ার ফাইটার পদে পাশ করা একজন পরীক্ষায়ই অংশগ্রহণ করেননি।
এছাড়া মেঘনা সিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে সোয়াবুল ইসলাম সিজল রোল নম্বর ১৮০০১৮০৬, বিপিসি চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন বিপিসি’র রেস্ট হাউজের পিয়ন ওমর ফারুখ রোল নম্বর ১৯০০১৯০৯, তার ছেলে ওমর বিন সাদনান সিফাত রোল নম্বর ১৮০০০১০৯ বাবা ছেলে এক সঙ্গে পাশ করেছেন মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিয়োগ পরীক্ষায়। প্রকাশিত ফলাফলের এই অসংগতিগুলো তুলে ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ পাঠায় মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরি প্রার্থীরা।
বিপিসি সূত্র জানায়, চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ ছাড়াও গত তিন দিন ধরে বিতর্কিত এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রধান কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন ডিপোতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে অস্থায়ী কর্মচারীরা। এরই জের ধরে পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে বিপিসি’র পরিচালক (অর্থ) নাজনীন পারভিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ও এইচ আর বিভাগের জিএম ইনাম ইলাহী চৌধুরীর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। অফিসের টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এমডির পিএ মাহফুজুর রহমান জানান, এমডির সঙ্গে কথা বলে পরে তার বক্তব্য জানাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনিও কিছু জানাননি।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার। গত তিন দিন ধরে প্রধান কার্যালয়সহ দেশের সবকটি ডিপোতে এই অনিয়মের প্রতিবাদের কর্মসূচি পালন করে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা। অবশেষে কর্মচারীদের দাবি মেনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
বুধবার বিকেলে বিপিসি’র পরিচালক (অর্থ) নাজনীন পারভিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগ আমলের পুরোটা সময়জুড়ে কোনো নিয়োগ হয়নি রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় তেল বিপণনের এই প্রতিষ্ঠান। তাই কোম্পানির সরাসরি নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। ঠিকাদারদের অধীন চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে জ্বালানি খাতের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় কাজ চলে গেছে বহিরাগতদের হাতে। আর এই কাজটি করা হয়েছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে। একদিকে যেমন সরাসরি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রফিট বোনাস ফান্ড থেকে লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে কর্মকর্তা কর্মচারীদের লাভের টাকা বাড়ছে। গত অর্থবছরে প্রতিজন কর্মকর্তা কর্মচারী শুধু লভ্যাংশ থেকে ১২ লাখ টাকা করে পেয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ায় সরকার সংশ্লিষ্টরাও লাভবান হচ্ছে। আবার ঠিকাদারের অধীন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যা যত বাড়ছে জ্বালানীখাতের ওপর আওয়ামী প্রভাব ততটায় বেড়েছে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১৪৭টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ৪ জুলাই ঢাকার বিআইএমের অধীন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের ১৭ হাজার চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেয়। রেজাল্টে ৯৮১ জন পাশ করেন। কিন্তু রেজাল্ট শিট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। প্রকাশিত ফলাফলে এমন অন্তত ১৮ জনকে পাশ দেখানো হয়েছে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেনি। সম্প্রতি নিয়োগ বোর্ডের প্রধানকে দেয়া লিখিত আবেদনে এই অভিযোগ করেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এরমধ্যে পাম্প অপারেটর পদে চারজন, অদক্ষ জনবল পদে চারজন, পিয়ন একজন, সিকিউরিটি ৮ জন ও ফায়ার ফাইটার পদে পাশ করা একজন পরীক্ষায়ই অংশগ্রহণ করেননি।
এছাড়া মেঘনা সিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে সোয়াবুল ইসলাম সিজল রোল নম্বর ১৮০০১৮০৬, বিপিসি চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন বিপিসি’র রেস্ট হাউজের পিয়ন ওমর ফারুখ রোল নম্বর ১৯০০১৯০৯, তার ছেলে ওমর বিন সাদনান সিফাত রোল নম্বর ১৮০০০১০৯ বাবা ছেলে এক সঙ্গে পাশ করেছেন মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিয়োগ পরীক্ষায়। প্রকাশিত ফলাফলের এই অসংগতিগুলো তুলে ধরে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ পাঠায় মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরি প্রার্থীরা।
বিপিসি সূত্র জানায়, চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ ছাড়াও গত তিন দিন ধরে বিতর্কিত এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রধান কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন ডিপোতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে অস্থায়ী কর্মচারীরা। এরই জের ধরে পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে বিপিসি’র পরিচালক (অর্থ) নাজনীন পারভিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ও এইচ আর বিভাগের জিএম ইনাম ইলাহী চৌধুরীর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। অফিসের টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এমডির পিএ মাহফুজুর রহমান জানান, এমডির সঙ্গে কথা বলে পরে তার বক্তব্য জানাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনিও কিছু জানাননি।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে