চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে চলছে শোকের মাতম। সৌদি আরবে মালিক পক্ষের (কফিলের) নির্যাতনে নিহত পূর্ব ভূজপুর তালুকদার পাড়ার বাসিন্দা ফুল মিঞার ছেলে মো. রুবেলের লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তার বড় ভাই মো. বাবুল (২৯) ও মামাতো ভাই মোহাম্মদ ওসমান গণী (৪২)। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বশির উল্লাহ নামে তাদের অপর এক আত্মীয়।

শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা নামক স্থানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সেটি পেছন দিক থেকে একটি লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবুল ও ওসমান গণী। গুরুতর আহত হন তাদের অপর এক আত্মীয় বশির উল্লাহ। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, এক বছর আগে সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় কফিলের নির্যাতনে নিহত হন রুবেল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দেশে আনার জন্য ঢাকা বিমান বন্দরে যান তার ভাই বাবুল, মামাতো ভাই ওসমান গণী ও অপর এক আত্মীয় বশির উল্লাহ।

নিহতদের মামাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, এক বছর আগে সৌদি আরবে নিহত রুবেলের লাশ আনতে তারা ঢাকা বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রবাসী রুবেলের লাশ আনতে ঢাকা বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন তার তিন আত্নীয়। ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ দ্রুত বাড়িতে পেঁৗছাতে স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সাকলাইন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ ঘটনায় ভূজপুরসহ আশপাশের এলাকায় শোকের মাতম নেমে এসেছে। নিহত-আহত সবাই একে অপরের আত্নীয় হওয়ায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।