উপজেলা প্রতিনিধি, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাতের গুজব ছড়িয়ে দুই জামায়াত কর্মীকে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মানিককে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও তান তিন ভাই সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু ছালেক বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী এবং ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে সম্পৃক্ত ছিল।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের মামলা-হামলা ও জুলুম-নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন এলাকা ছেলে অন্যত্র আত্মগোপনে ছিল। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাড়িতে ফিরে আসেন। আবু ছালেক এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক বিরোধ মীমাংসা করাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কে বা কারা জনৈক আব্দুল নুরের মালিকানাধীন একটি সিএনজি অটোরিকশা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে আব্দুল নুর আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে অবহিত করলে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিন সিএনজি অটোরিকশা পোড়ানোর বিষয়টি আব্দুল নুরসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক করেন। ওই সালিশ বৈঠকে আব্দুল নুরের গাড়িতে কারা আগুন লাগিয়েছে তা শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সিএনজির ক্ষতিপূরণ বাবদ সাত লাখ টাকা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, জনৈক আব্দুল নুর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওইদিন সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে ০৩ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় ছনখোলা এলাকার পুনরায় একটি সালিশ বৈঠক হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের কয়েকজন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে সিএনজি পোড়ানোর ঘটনায় শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে ছনখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে রাস্তার ওপর যাওয়ার জন্য বলে। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার সময় ছালেক ও তার বন্ধু নেজামসহ আরও নয়জন সিএনজিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন তারা ঘটনাস্থলের পাশে থাকা জনৈক হারুনের চায়ের দোকানে বসে সিএনজি পোড়ানোর ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
আলোচনা করার একপর্যায়ে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী ছনখোলা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে গুজব ছড়িয়ে এলাকার স্থানীয়দের উসকে দিয়ে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে হারুনের চায়ের দোকান থেকে বের করে রাস্তার বিপরীত পাশে একটি টিনের ঘরে নিয়ে মারধর শুরু করে। রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও ধারালো কিরিচ দিয়ে নেজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা ইট দিয়ে নেজাম উদ্দিনকে মুখের ওপর উপর্যুপুরি আঘাত করে। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিনের গলায় পা-চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নেজাম উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর একই কায়দায় আবু ছালেককে রাস্তার ওপর এনে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় কয়েকজন ধারালো চুরি দিয়ে আবু ছালেকের জিহ্বা কেটে দেয়। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পিস্তল দিয়ে গুলি করে।
আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় এলোপাতাড়ি গুলি করলে স্থানীয় ৫ জন গুরুতর আহত হয়। যাওয়ার সময় পিস্তলটি নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে যায়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনের সুরতহাল করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এখন মামলা তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করবো।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাতের গুজব ছড়িয়ে দুই জামায়াত কর্মীকে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মানিককে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও তান তিন ভাই সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু ছালেক বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী এবং ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে সম্পৃক্ত ছিল।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের মামলা-হামলা ও জুলুম-নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন এলাকা ছেলে অন্যত্র আত্মগোপনে ছিল। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাড়িতে ফিরে আসেন। আবু ছালেক এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক বিরোধ মীমাংসা করাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কে বা কারা জনৈক আব্দুল নুরের মালিকানাধীন একটি সিএনজি অটোরিকশা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে আব্দুল নুর আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে অবহিত করলে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিন সিএনজি অটোরিকশা পোড়ানোর বিষয়টি আব্দুল নুরসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক করেন। ওই সালিশ বৈঠকে আব্দুল নুরের গাড়িতে কারা আগুন লাগিয়েছে তা শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সিএনজির ক্ষতিপূরণ বাবদ সাত লাখ টাকা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, জনৈক আব্দুল নুর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওইদিন সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে ০৩ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় ছনখোলা এলাকার পুনরায় একটি সালিশ বৈঠক হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের কয়েকজন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে সিএনজি পোড়ানোর ঘটনায় শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে ছনখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে রাস্তার ওপর যাওয়ার জন্য বলে। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার সময় ছালেক ও তার বন্ধু নেজামসহ আরও নয়জন সিএনজিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন তারা ঘটনাস্থলের পাশে থাকা জনৈক হারুনের চায়ের দোকানে বসে সিএনজি পোড়ানোর ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
আলোচনা করার একপর্যায়ে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী ছনখোলা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে গুজব ছড়িয়ে এলাকার স্থানীয়দের উসকে দিয়ে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে হারুনের চায়ের দোকান থেকে বের করে রাস্তার বিপরীত পাশে একটি টিনের ঘরে নিয়ে মারধর শুরু করে। রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও ধারালো কিরিচ দিয়ে নেজাম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা ইট দিয়ে নেজাম উদ্দিনকে মুখের ওপর উপর্যুপুরি আঘাত করে। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিনের গলায় পা-চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নেজাম উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর একই কায়দায় আবু ছালেককে রাস্তার ওপর এনে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় কয়েকজন ধারালো চুরি দিয়ে আবু ছালেকের জিহ্বা কেটে দেয়। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পিস্তল দিয়ে গুলি করে।
আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় এলোপাতাড়ি গুলি করলে স্থানীয় ৫ জন গুরুতর আহত হয়। যাওয়ার সময় পিস্তলটি নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে যায়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনের সুরতহাল করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এখন মামলা তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করবো।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ পাহারা ভেঙে পালানো ছিনতাইকারী ইমাম হোসেন আকাশকে (২৯) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই ঘটনায় চীনা নাগরিককে ছুরিকাঘাতকারী পিচ্চি আকাশ নামের আরেক যুবককেও আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
৪ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টোপথে এসে চলন্ত অটোকে ধাক্কা দিলে অটোতে থাকা ১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন ও গুরুতর আহত অবস্থায় অন্য একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেকক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৬ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগে