গোপন বার্তা ফাঁস করা অমি দাশের মামলা তদন্তে কাউন্টার টেরোরিজম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৫৯

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের ওয়াকিটকির বার্তা ফাঁস করে গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে থাকা কনস্টেবল অমি দাশের মামলা তদন্তভার নিয়েছে চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (ডিসি) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আমার দেশকে বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আমাদের কাছে দেয়া হয়েছে। এই চক্রে আর কারা জড়িত, সবকিছু তদন্ত করা হবে।

১১ আগস্ট রাতে বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন এসআই আবু সাঈদ। পরদিন কমিশনার ওয়াকিটকিতে নির্দেশ দেন-পুলিশের প্রতিটি টহল পার্টি অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বের হবে এবং অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি চালাবে। এই নির্দেশ ছিল সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ, ফোর্সদের মনোবল বাড়ানো ও আত্মরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কিন্তু অপারেটর অমি দাশ নির্দেশটির ভিডিও ধারণ করেন এবং সেটি ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হঠাৎ করেই অভ্যন্তরীণ বার্তাটি বাইরে চলে আসে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে সিএমপি সদর দফতর সব জায়গায় নড়ে ওঠে শীর্ষ কর্মকর্তারা। কারণ, পুলিশের কৌশল ও গোপন নির্দেশ একবার বাইরে চলে গেলে তা শুধু বাহিনী নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

তদন্ত শুরু হতেই সিএমপির একাধিক টিম মাঠে নামে। অবশেষে ১৭ আগস্ট রাতে খুলশী থানার অপারেটর অমি দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়। এ আইনের আওতায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করাকে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড হিসেবে ধরা হয়।

খুলশী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অমিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয় ১৯ আগস্ট। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এই মামলাটি এখন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট দেখছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত