কুতুবদিয়ায় বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্কে অতিষ্ঠ পর্যটকরা

এম এ মান্নান, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ১৭
ছবি: আমার দেশ

কুতুবদিয়ায় ২৫ কিলোমিটার সী বিচের অন্যতম ৩টি পয়েন্টে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপে অতিষ্ঠ ভ্রমন পিপাসুরা। ঈদ কিংবা অন্যান্য উৎসবের দিনে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প,বড়ঘোপ সৈকত ও বাতিঘর এলাকায় হাজার হাজার নারী-শিশুর আগমণ ঘটে। অন্যকোন বিনোদন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান পর্যটকরা।

বিজ্ঞাপন

পর্যটনের হাতছানি দেয়া সাগরকন্যা কুতুবদিয়ায় সৈকতের সী বিচে সরকারি কোন সুবিধা বা সেবা প্রতিষ্ঠিত নেই। অস্থায়ী ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমিকদের জন্য বসার কোন ব্যবস্ওথা নেই। নেই কোন পর্যটন ছাতা। ফলে পাঁয়ে হাটতে থাকা আর ঝাউবনে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে যত্রতত্র ওঁৎ পেতে থাকা বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপ সীমাহীন।

নারী শিক্ষিকা সালমা জাহান জানান, বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সৈকতে। শিশুরা দৌড়াদৌড়ি করতে গেলেই কুকুরে হামলার শিকার হচ্ছে। শিশুরা কুকুর আতংকে মন খুলে ঘুরতে পারছেনা।

সরকারি চাকুরিজীবি সোলাইমান ঈদের ছুটি পাননি। বিকালে ঘুরতে এসেছেন সী বিচে। তিনি মনে করেন,বেড়ানোর যথেষ্ট বিচরণ জায়গা রয়েছে বিশাল সৈকত জুড়ে। তবে বিনোদনের মত সুবিধা নাই। বসার জন্য পর্যটন চেয়ার বা ছাতা নেই। তার ওপর অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুরদল। শিশুরা আতংকে থাকে। প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশ (বাপা) এর উপজেলা সভাপতি প্রভাষক নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাময় দ্বীপের সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা বিশেষ করে নারী-শিশুদের সুবিধা থাকা প্রয়োজন। এখনো সরকারিভাবে বিশাল সী বিচে কোন সুবিধা গড়ে ওঠেনি। সরকারী শৌচাগার নেই সৈকতে। অবারধে বিচরণ করছে কুকুর। বর্জ্য আর পলিথিন পড়ে থাকে যত্রতত্র। বিনোদন স্পটগুলোতে নিরাপদ সুবিধা পেলে এক সময় দ্বীপের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিত পর্যটক আসবে বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, পর্যটন সম্ভাবনার দ্বীপ এটি। বেড়ানো ছাড়া তেমন বিনোদন নেই বললেই চলে। সৈকতে ময়লা আর বিষ্ঠা দেখা যায় প্রায়ই। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো জনসচেতনায় এগিয়ে এলে নিজেদের বিনোদনের সী বিচ নিরাপদ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। সাথে সরকারি সেবা দিতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত