টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিল থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল নিখোঁজ গৃহবধূ স্বপ্নারই ছিল বলে ডিএনএ টেস্টের পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গেল বছরের ৫ মে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া বিল থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধারের ১৭ মাস পর শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পরপরই এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন স্বপ্না আক্তারের শ্বশুর ও টাকিয়া কদমা গ্রামের মৃত মুকাররম আলীর ছেলে সালাম মিয়া (৬৫) ও একই এলাকার আব্দুল
মান্নানের ছেলে চাচা শ্বশুর শফিকুল (৪৫)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে ২২ জুলাই নিখোঁজ হন স্বপ্না আক্তার। স্বপ্না নিখোঁজ হওয়ার দিন ভোরে প্রবাসে থাকা স্বামী দুলাল মিয়া বাড়িতে হাজির হন। অর্থসম্পদ চুরি করে স্বপ্না পরকীয়া প্রেমিকের
সাথে চলে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপর ২০২৪ সালের ৫ মে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বিল থেকে খুঁটির সাথে বাঁধা অবস্থায় একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার সংবাদ শুনেই
আত্মগোপনে চলে যান স্বপ্নার স্বামী।
ওই বিলের পাশে পাওয়া একটি তাবিজ দেখে ওই কঙ্কালকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম। পুলিশ ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে কঙ্কালের হাড় ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠায়। কিন্তু হাড় থেকে ডিএনএ শনাক্ত করতে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় পরে নমুনা হিসেবে দাঁত পাঠানো হয়। দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষা করে প্রমাণিত হয় ওই কঙ্কাল নিখোঁজ স্বপ্নারই ছিল।
স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর মাঝে মধ্যে আমার মেয়ের জামাই আমাদের বাড়িতে আসতো। কিন্তু কঙ্কাল
উদ্ধারের পর থেকে তাকে আর কোথাও দেখা যায় নাই। যারা আমার মেয়েরে মারছে আমি তাদের সবার বিচার চাই।
মির্জাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা। গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করছি। এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। রিমান্ড আবেদন করা হবে।

