হারুন মাস্টারের খুনিদের বিচার দাবি

উপজেলা প্রতিনিধি, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩৬
স্কুল মাস্টার হারুন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

ঢাকার দোহার উপজেলা বিএনপি নেতা ও স্কুল মাস্টার হারুন-অর-রশিদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন সহকর্মী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

সোমবার ৭ জুলাই সকালে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ’ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে রোববার দুপুরে দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজারে ‘আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন’এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনকারীরা জানান, হারুন-অর-রশিদ একজন শিক্ষক ছিলেন। আমরা জানি তিনি রাজনৈতিক বিভেদে হত্যার শিকার হয়েছেন। তাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্যে দিয়ে একজন আদর্শ শিক্ষকের মর্যাদা বিনষ্ট করা হয়েছে। আমরা শিক্ষক ও সচেতন জনতা হিসেবে তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন দোহার উপজেলার সভাপতি মো. নূরে আলম ঝিলু, সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন, কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী, মাওলানা দলিলুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাসুম হোসেন প্রমুখ।

অপরদিকে, হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মানববন্ধনে উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের জয়নালের মোড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম, সিনিয়র শিক্ষক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান, আল-মামুন লাভলু মোল্লা, ডা. ইলামদ্দিন, নজরুল ইসলাম লিটন, অভিভাবক প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, তোতা মোল্লা, মশিউর রহমান রিপন, লাভলু দেওয়ান, সেলিম রেজা, গেতৗম সরকার, সাইদুর রহমান শিপু, মনির মোল্লা, মজনু মিয়া, ওয়াসিম মোল্লা, ফিরোজ আলম প্রমুখ।

জানা যায়, নিহত হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুন মাস্টারর বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দোহারের নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা। তিনি বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে হাঁটতে বের হন। এসময় বাহ্রা

স্কুলের কাছে পদ্মানদীর পাড়ে হাঁটার সময় দু’মোটর সাইকেল যোগে পাঁচ যুবক তাকে গুলি করে

ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে স্থানীয় সামসুদ্দিন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে সাতজনকে এজাহার নামীয় এবং ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। এ মামলায় ফারুক হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত