গাজীপুরের টঙ্গীতে মামলা তুলে না নেয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরতর আহতরা হলেন, রিকশার গ্যারেজ ব্যবসায়ী সোহান মিয়া (৩৫) ও তার ভাই সোহেল (৩৩)। গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর পাগাড় সালামের আটারকল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযােগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সোহান মিয়া ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় একটি রিকশার গ্যারেজ নির্মাণ করেন ব্যবসা করছিলেন সোহান মিয়া । সম্প্রতি ওই এলাকার সন্ত্রাসী নূরুল ইসলাম, হাসান ও কামাল হোসেনসহ কয়েকজন ওই গ্যারেজে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে গ্যারেজ মালিক সোহান দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার ভাই সোহেলকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় সোহেল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেন গ্রুপের জুনায়েদ, রাকিব ও জীবন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় । পরে মামলাটি তুলে নিতে সোহানকে খবর পাঠায় অভিযুক্ত কামাল হোসেন । এতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা সোহান ও সোহেলকে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে নিয়ে পাঠায়। এ ঘটনায় সোহেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠান।
ভুক্তভোগী সোহান মিয়া জানান, মামলা তুলে না নেয়ায় আমাদের দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে। শনিবার (আজ) হাসপাতাল থেকে ফিরেছি। সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাস করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের একজন কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার রিসিভ করেন। তিনি জানান, আমাদের বাসায় এলাকার সন্ত্রাসী কানা রতন, বুলু, দাউদ ও বিল্লাল একাধিকবার হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরাও এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা বলতে পারছি না।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সোহান ও সোহেলকে আহত করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগীরা মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়া হবে।

