জামালপুরের বকশীগঞ্জে খাদ্য অধিদপ্তরের ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ মধ্য পাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও আজগর আলীর ছেলে আল আমিনের বাড়ি থেকে চালগুলো জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চন্দ্রাবাজ মধ্য পাড়া গ্রামের প্রথমে আল আমিনের বাড়ি থেকে পরে আক্কাছ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের ঘর থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চালের বস্তা গুলো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি গাড়িতে তোলার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়া হয়।
পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা সরেজমিনে গিয়ে চাল বোঝায় ট্রলি গাড়িটি জব্দ করেন। চালের বস্তা গুলো জব্দের পর থানায় নেয়া হয়েছে।
৩০ কেজি বস্তা চাল গুলো খাদ্য অধিদপ্তরের সিল যুক্ত লেখা ছিল। তবে চাল গুলো বগারচর ইউনিয়নের টিসিবির কর্মসূচির উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিল। জব্দকৃত চাল গুলো বগারচর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মাহমুদুর রহমান লাবুর বলে প্রাথমিকভাবে জানান গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে চালগুলো কালোবাজারে বিক্রির জন্যই অবৈধভাবে অন্যের বাড়িতে মজুদ রেখেছিলেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিকাশ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর টিসিবি ডিলার মাহমুদুর রহমান লাবু বলেন, চালগুলো খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলনের পর গাড়িতে নেয়ার পথে ট্রলি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে এ কারণে চালগুলো এক বাড়িতে রাখা হয়েছিল।
বকশীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছাইদুর রহমান জানান, চালগুলো কার তা যাচাই করা হচ্ছে। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা জানান, যে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত। জব্দ চালগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ, চালের বস্তা জব্দের পর থানায় আনা হয়েছে। এঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

