জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর
মাদারীপুরে মানবপাচার চক্রের কবলে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছে। এমনই একটি পরিবার সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তিথিরপাড়া গ্রামের জুয়েল বেপারী।
ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তিথিরপাড়া গ্রামের জুয়েল বেপারী রাধারবাড়ী গ্রামের আইয়ুব আলী বেপারীর ছেলে মানবপাচার চক্রের সদস্য রুবেল বেপারীর কাছে ধারদেনা করে ২০ লাখ টাকা তুলে দেন। তার সাথে চুক্তি হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার জন্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরে লিবিয়া গিয়ে রুবেল বেপারী গেম ঘরে রাখেন জুয়েলকে। কিছুদিন পরে সেখানে মাফিয়াদের কাছে জুয়েলকে বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাপক নির্যাতন চালায় মাফিয়ারা। তখন দফায় দফায় টাকা দাবি করে রুবেল। পরে বাধ্য হয়ে জুয়েল বেপারীর পরিবার বাড়ির জায়গা বিক্রি করে লিবিয়ার মাফিয়াদের কাছে থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে এ ঘটনায় জুয়েল বেপারী ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দালাল রুবেল বেপারী ও তাই ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হওয়ায় পরে রুবেল বেপারী ও তার লোকজন বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূক্তভোগী জুলেয় বেপারী মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে রুবেল বেপারীর ভাগনী জামাইয়ের চাচা রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের পূর্ব শাখারপাড় গ্রামের নূর ইসলাম মোল্লার একটি মামলায় জুয়েল বেপারীর বড় ভাই সুলতান বেপারী ও রাসেল বেপারীকে আসামি করেন। যেখানে একটি হত্যা মামলায় ৪নং ও ৫নং আসামি দেখানো হয়। অথচ মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লার সাথে আসামিদের চেনাজানা নেই। মূল ঘটনা আড়াল করতে বানোয়াট মামলায় আসামি করা হয়।
বিষয়টি জানার জন্যে সরেজমিনে আসামিদের নিয়ে মামলার বাদীর বাড়িতে যাওয়া হয়। যেখানে বাদী আসামিদের চিনেন না আর আসামিরাও বাদীকে চিনেন না বলে দাবি করেন। সেই সাথে কে বা কারা তাদের আসামি করেছেন, সেটাও বাদী নূর ইসলাম মোল্লাও বলতে পারেননি।
মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লা বলেন, আপনারা কারা (আসামিদের উদ্দেশ্যে)? আপনাদের তো জীবনেও কখনো দেখি নাই। ঠিকানা কোথায়। আমার ছেলে মারা গেছে বিধায় একটি মামলা করেছি রাজৈর থানায়। কিন্তু আপনাদেরতো আসামি করা হয়েছে কিনা জানি না। এটা আমার চাচাতো ভাই বেলায়েত মোল্লা আসামিদের নাম দিয়েছে। তবে আপনারা যেহেতু আমার ছেলে হত্যার সাথে জড়িত না, তাই আপনাদের কোন অসুবিধা নাই। আমি পুলিশ এবং আদালতে বলবো, আপনাদের চিনি না। কেউ হয়ত ভুলে ওনাদের নাম দিয়েছে।
জুয়েল বেপারীর বড় ভাই ও মামলার আসামি রাসেল বেপারী বলেন, আমি কখনোই মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লাকে দেখি নাই। তিনিও আমাকে দেখেন নাই। কিন্তু কিভাবে আমাদের দুই ভাইকে আসামি করেছে, সেটা আমরা জানি না।
আর ভূক্তভোগী জুয়েল বেপারী বলেন, আমি এখন ভিটেহারা। দালাল রুবেল বেপারী আমার থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে লিবিয়ায় মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে আমি বাড়ির শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে বাড়িতে আসি। এরপরে দালালদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা উল্টো আমার বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অন্য উপজেলার একটি হত্যা মামলায় আসামি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন খান বলেন, নূর ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুজনকে সাজানো আসামি করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তবে আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকরা বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি যে, স্থানীয় দালালের বিরুদ্ধে মামলা করায় অন্য একটি ঘটনায় বাদীর ভাইদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়েছে। তবে তদন্তে এসব আসামিরা বাদ পড়বে। আর নিরাপদ ব্যক্তিদের হয়রানিও করা হবে না। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।
মাদারীপুরে মানবপাচার চক্রের কবলে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছে। এমনই একটি পরিবার সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তিথিরপাড়া গ্রামের জুয়েল বেপারী।
ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তিথিরপাড়া গ্রামের জুয়েল বেপারী রাধারবাড়ী গ্রামের আইয়ুব আলী বেপারীর ছেলে মানবপাচার চক্রের সদস্য রুবেল বেপারীর কাছে ধারদেনা করে ২০ লাখ টাকা তুলে দেন। তার সাথে চুক্তি হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার জন্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরে লিবিয়া গিয়ে রুবেল বেপারী গেম ঘরে রাখেন জুয়েলকে। কিছুদিন পরে সেখানে মাফিয়াদের কাছে জুয়েলকে বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাপক নির্যাতন চালায় মাফিয়ারা। তখন দফায় দফায় টাকা দাবি করে রুবেল। পরে বাধ্য হয়ে জুয়েল বেপারীর পরিবার বাড়ির জায়গা বিক্রি করে লিবিয়ার মাফিয়াদের কাছে থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে এ ঘটনায় জুয়েল বেপারী ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দালাল রুবেল বেপারী ও তাই ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হওয়ায় পরে রুবেল বেপারী ও তার লোকজন বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূক্তভোগী জুলেয় বেপারী মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে রুবেল বেপারীর ভাগনী জামাইয়ের চাচা রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের পূর্ব শাখারপাড় গ্রামের নূর ইসলাম মোল্লার একটি মামলায় জুয়েল বেপারীর বড় ভাই সুলতান বেপারী ও রাসেল বেপারীকে আসামি করেন। যেখানে একটি হত্যা মামলায় ৪নং ও ৫নং আসামি দেখানো হয়। অথচ মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লার সাথে আসামিদের চেনাজানা নেই। মূল ঘটনা আড়াল করতে বানোয়াট মামলায় আসামি করা হয়।
বিষয়টি জানার জন্যে সরেজমিনে আসামিদের নিয়ে মামলার বাদীর বাড়িতে যাওয়া হয়। যেখানে বাদী আসামিদের চিনেন না আর আসামিরাও বাদীকে চিনেন না বলে দাবি করেন। সেই সাথে কে বা কারা তাদের আসামি করেছেন, সেটাও বাদী নূর ইসলাম মোল্লাও বলতে পারেননি।
মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লা বলেন, আপনারা কারা (আসামিদের উদ্দেশ্যে)? আপনাদের তো জীবনেও কখনো দেখি নাই। ঠিকানা কোথায়। আমার ছেলে মারা গেছে বিধায় একটি মামলা করেছি রাজৈর থানায়। কিন্তু আপনাদেরতো আসামি করা হয়েছে কিনা জানি না। এটা আমার চাচাতো ভাই বেলায়েত মোল্লা আসামিদের নাম দিয়েছে। তবে আপনারা যেহেতু আমার ছেলে হত্যার সাথে জড়িত না, তাই আপনাদের কোন অসুবিধা নাই। আমি পুলিশ এবং আদালতে বলবো, আপনাদের চিনি না। কেউ হয়ত ভুলে ওনাদের নাম দিয়েছে।
জুয়েল বেপারীর বড় ভাই ও মামলার আসামি রাসেল বেপারী বলেন, আমি কখনোই মামলার বাদী নূর ইসলাম মোল্লাকে দেখি নাই। তিনিও আমাকে দেখেন নাই। কিন্তু কিভাবে আমাদের দুই ভাইকে আসামি করেছে, সেটা আমরা জানি না।
আর ভূক্তভোগী জুয়েল বেপারী বলেন, আমি এখন ভিটেহারা। দালাল রুবেল বেপারী আমার থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে লিবিয়ায় মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে আমি বাড়ির শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে বাড়িতে আসি। এরপরে দালালদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা উল্টো আমার বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অন্য উপজেলার একটি হত্যা মামলায় আসামি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন খান বলেন, নূর ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুজনকে সাজানো আসামি করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তবে আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকরা বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি যে, স্থানীয় দালালের বিরুদ্ধে মামলা করায় অন্য একটি ঘটনায় বাদীর ভাইদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়েছে। তবে তদন্তে এসব আসামিরা বাদ পড়বে। আর নিরাপদ ব্যক্তিদের হয়রানিও করা হবে না। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে