উপজেলা প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
দালালের খপ্পরে পড়ে প্রাণ গেল মাদারীপুর জেলার শিবচরের যুবক রিফাত তালুকদার রিফাতের। শনিবার বিকেলে রিফাতের লাশ আসে নিজ বাড়িতে।
জানা যায়,গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হয় । এর প্রায় ৫ মাস পর রিফাতের লাশ ফিরেছে নিজ বাড়িতে।
মা বাবার অতি আদরের একমাত্র ছেলে রিফাত তালুকদার। ছোটবেলা থেকেই খুবই দুরন্ত ও চটপটে স্বভাবের রিফাত। বাবা-মা সব সময় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভয়ে থাকতো ছেলের কোনো ক্ষতি যেন না হয়। একসময়ের সেই ভয় সত্যি হলো। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দ্বিতিয়াখন্ড ইউনিয়নের হুমায়ূন তালুকদার ও শিল্পী আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে মো. রিফাত তালুকদার (২৫) ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে লিবিয়া থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন।
ইতালি যাওয়ার জন্য ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দেশ ছাড়েন তিনি। লিবিয়া গিয়ে দু’মাস অপেক্ষার পর ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ সাগর পথে রওনা হন রিফাত। ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ডুবে যায় ট্রলার। এসময় গুরুতর আহত হন রিফাত। লিবিয়ার কোস্টগার্ড উদ্ধার করে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসা অবস্থায় মারা যান তিনি।
প্রায় ৭ মাস পর শনিবার বিকেলে রিফাতের লাশ আসে নিজ বাড়িতে। এ দিন জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়ছে।
নিহতের চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার জানান'ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসের দিকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পৌঁছায় রিফাত তালুকদার। সেখানে দুই মাসের মতো অপেক্ষার পর ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে রিফাতসহ অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি ট্রলার ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হয়ে ডুবে যায়। এ সময় মারা যায় অনেকে, আহতও হয় অনেকে। গুরুতর আহতাবস্থায় লিবিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন রিফাত। তবে আইনি জটিলতার কারণে রিফাতের লাশ আনতে দেরি হয়। অবশেষে রিফাতের লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর চলতি বছর ২৫ রমজানে রিফাতের লাশের খোঁজ পায় তার পরিবার। পরিবার জানতে পারে, রিফাতের লাশ লিবিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রিফাতের সন্ধানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন রিফাতের পরিবার।
রিফাতের বাবা হুমায়ূন তালুকদার বলেন,‘ইতালি যাওয়ার পর দুর্ঘটনায় ওর মৃত্যু হয়।লাশ লিবিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে ছিল। লিবিয়ায় থাকা এলাকার প্রতিবেশীরা খোঁজ করলে রিফাতের সন্ধান পায় ওরা। পরে আমাদের জানালে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।'
নিহত রিফাতের মামা হাবিব মুন্সী বলেন,‘অনেক দিন রিফাতের কোন খোঁজ ছিল না।গত রমজানে আমরা জানতে পারি ওর লাশ লিবিয়ায় আছে।এরপর লাশ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনিবার বিকেলে লাশ আসে বাড়িতে।'
তিনি আরো বলেন,‘আমার একটাই ভাগিনা ছিল। ওরে কোনো ভাবেই বিদেশ যেতে দিতে রাজি ছিল না ওর বাবা-মা। এক রকম পাগলামি করে লিবিয়া যায়।বাড়িতে সহায়-সম্পত্তির অভাব নাই। তারপরও লিবিয়া হয়ে ইতালি যেতে ‘পাগল’ হয়ে ওঠে।’
রিফাত তালুকদারের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরের দ্বিতিয়খন্ডে কান্নার রোল যেন কিছুতেই থামছে না। কে দেবে তাদের একমাত্র ছেলে হারানোর সান্ত্বনা।
এমএস
দালালের খপ্পরে পড়ে প্রাণ গেল মাদারীপুর জেলার শিবচরের যুবক রিফাত তালুকদার রিফাতের। শনিবার বিকেলে রিফাতের লাশ আসে নিজ বাড়িতে।
জানা যায়,গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হয় । এর প্রায় ৫ মাস পর রিফাতের লাশ ফিরেছে নিজ বাড়িতে।
মা বাবার অতি আদরের একমাত্র ছেলে রিফাত তালুকদার। ছোটবেলা থেকেই খুবই দুরন্ত ও চটপটে স্বভাবের রিফাত। বাবা-মা সব সময় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভয়ে থাকতো ছেলের কোনো ক্ষতি যেন না হয়। একসময়ের সেই ভয় সত্যি হলো। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দ্বিতিয়াখন্ড ইউনিয়নের হুমায়ূন তালুকদার ও শিল্পী আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে মো. রিফাত তালুকদার (২৫) ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে লিবিয়া থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন।
ইতালি যাওয়ার জন্য ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দেশ ছাড়েন তিনি। লিবিয়া গিয়ে দু’মাস অপেক্ষার পর ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ সাগর পথে রওনা হন রিফাত। ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ডুবে যায় ট্রলার। এসময় গুরুতর আহত হন রিফাত। লিবিয়ার কোস্টগার্ড উদ্ধার করে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসা অবস্থায় মারা যান তিনি।
প্রায় ৭ মাস পর শনিবার বিকেলে রিফাতের লাশ আসে নিজ বাড়িতে। এ দিন জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়ছে।
নিহতের চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার জানান'ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসের দিকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পৌঁছায় রিফাত তালুকদার। সেখানে দুই মাসের মতো অপেক্ষার পর ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে রিফাতসহ অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি ট্রলার ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হয়ে ডুবে যায়। এ সময় মারা যায় অনেকে, আহতও হয় অনেকে। গুরুতর আহতাবস্থায় লিবিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন রিফাত। তবে আইনি জটিলতার কারণে রিফাতের লাশ আনতে দেরি হয়। অবশেষে রিফাতের লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর চলতি বছর ২৫ রমজানে রিফাতের লাশের খোঁজ পায় তার পরিবার। পরিবার জানতে পারে, রিফাতের লাশ লিবিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রিফাতের সন্ধানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন রিফাতের পরিবার।
রিফাতের বাবা হুমায়ূন তালুকদার বলেন,‘ইতালি যাওয়ার পর দুর্ঘটনায় ওর মৃত্যু হয়।লাশ লিবিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে ছিল। লিবিয়ায় থাকা এলাকার প্রতিবেশীরা খোঁজ করলে রিফাতের সন্ধান পায় ওরা। পরে আমাদের জানালে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।'
নিহত রিফাতের মামা হাবিব মুন্সী বলেন,‘অনেক দিন রিফাতের কোন খোঁজ ছিল না।গত রমজানে আমরা জানতে পারি ওর লাশ লিবিয়ায় আছে।এরপর লাশ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনিবার বিকেলে লাশ আসে বাড়িতে।'
তিনি আরো বলেন,‘আমার একটাই ভাগিনা ছিল। ওরে কোনো ভাবেই বিদেশ যেতে দিতে রাজি ছিল না ওর বাবা-মা। এক রকম পাগলামি করে লিবিয়া যায়।বাড়িতে সহায়-সম্পত্তির অভাব নাই। তারপরও লিবিয়া হয়ে ইতালি যেতে ‘পাগল’ হয়ে ওঠে।’
রিফাত তালুকদারের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরের দ্বিতিয়খন্ডে কান্নার রোল যেন কিছুতেই থামছে না। কে দেবে তাদের একমাত্র ছেলে হারানোর সান্ত্বনা।
এমএস
স্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২৩ মিনিট আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগে