নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫১
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ১৬

নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীর মুরাদ নগরে বিএনপির দু গ্রুপের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাছাড়া আরও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন। আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত মিয়ার ছেলে আল মামুন জানান, ৫ আগস্টের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এড. আসাদুজ্জামান, সাবেক আহ্বায়ক ও স্থানীয় আলোক বালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিপুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া ছিল। সম্প্রতি তারা এলাকায় প্রবেশ করতে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরীর সাথে আঁতাত করে।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএনপি নেতা শাহ আলম চৌধুরীকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এড. আসাদুজ্জামানের লোকজন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইদন মিয়া। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হযয়েছেন আবুল হোসেন, রাকিব মিয়া, শাহ আলম ও মোস্তাকিম। এদের মধ্যে মোস্তাকিম, শাহ আলম ও আবুল হোসেনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফরিদা গুলশান আরা কবির জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে নরসিংদীর আলোকবালী থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরমধ্যে ইদন মিয়া নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসছে। তার বুকে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলি বুকের সামনে দিয়ে ঢুকে এবং পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। এছাড়া আরো তিনজন আহত হয়ে ভর্তি তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে সংঘর্ষের ঘটনার পর সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরো জানান, ৫ আগস্ট এর পর যারা এলাকা ছাড়া ছিল তারা হামলা করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, নিরীহ গ্রামবাসীর উপর ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চাললো হয়েছে। যাদের উপর হামলা করা হয়েছে তারা মূলত আলোকবাল ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাইম সরকারের লোকজন। নিহত ইদন মিয়া কাইয়ুম সরকারের সমর্থক বলে দাবি করেন তার ছেলে আল মামুন।

স্থানীয়রা আরো দাবি করেন, এমন একটি ঘটনা ঘটবে তা আগে ধারণা করতে পেরে পুলিশকে সতর্কবার্তা করে দেয়া হয়েছিল। এছাড়া গোয়েন্দা বাহিনী প্রশাসনকে এমন তথ্য জানানোর পরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেইনি।

এই ঘটনায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আইয়ুব খানের উপর হামলা করে কাইম সরকারের সমর্থকরা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত