নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ফয়েজের লাশ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় রায়পুর উপজেলার ১নং উত্তর চর আবাবিল ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউডগী গ্রামে নিজ বাড়িতে রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে কবর খুলে লাশ উত্তোলনের করেন।
ফয়েজের পিতা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা (মামলা নং–১, তারিখ: ১/০৭/২০২৫) দায়ের করলে আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী আবুল বাসার উপস্থিত থেকে পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করেন।
লাশ উত্তোলনের তদারকি করা রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা বলেন, নারায়ণগঞ্জ কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাশ স্বজনদের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হবে।
লাশ উত্তোলনের সময় পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাস্তা পারাপারের মুহূর্তে ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহতের স্বজনরা বলেন,আমরা ফয়েজ হত্যার সঠিক বিচার চাই। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত—তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আল্লাহ ফয়েজকে জান্নাত নসিব করুন।
উল্লেখ্য ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২১ জুলাই ২০২৪, সন্ধ্যা ০৬ টা, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ ও র্যাব গুলিতে নিহত হয়। তার গ্রামের বাড়ি রায়পুর উপজেলার ১নং উওর চর আবাবিল ইউপির ৯নং ওয়ার্ড ঝাউডগী গ্রামে দাফন হয়।

