বিএনপির কমিটি ঘোষণা ঘিরে হট্টগোল, পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে

উপজেলা প্রতিনিধি, রাজৈর (মাদারীপুর)
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১৫: ৩৪

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে লুন্দী কলেজ মাঠে এই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সৈয়দ আলী শেখ বয়াতির সমর্থকরা মঞ্চে বিক্ষোভ শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনটি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও কমিটি ঘোষণার সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। কমিটিতে মো. জামাল খন্দকার সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নুরুল ইসলাম শরীফ মনোনীত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আলী শেখ বয়াতি ও তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানান।

এসময় তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ‘ঘুষের বিনিময়ে কমিটি’ গঠনের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেয় এবং তাকে গাড়িতে উঠতে বাধা দেয়। পরে রাজৈর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং জাফর আলী মিয়াকে নিরাপত্তায় বের করে নেওয়া হয়।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুবদল নেতা সৈয়দ আলী শেখ বয়াতি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ইশিবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পরে নিজেই নুরুল ইসলাম শরীফকে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাকালীন সে তাদের সঙ্গে মিশে ইউপি সদস্য হয়। তারপরও প্রায় এক লাখ টাকা খাইয়ে আবারও তাকেই সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। মামলার আসামি হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। অথচ যাচাই-বাছাই ছাড়াই হুট করে টাকা দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হলো। এই কমিটি আমরা মানি না। আমরা পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানাই। তা না হলে আমরা রাস্তায় নামবো, প্রয়োজনে সড়ক অবরোধ করবো।

তবে এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম শরীফ। তিনি বলেন, জাফর আলী মিয়া এমন মানুষ না, যাকে টাকা দিয়ে কিছু করানো যায়। তিনি নিজেই একজন ধনী মানুষ এবং তারেক রহমানের নির্দেশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। যারা কমিটিতে স্থান পায়নি তারাই এখন দোষ চাপাচ্ছে। আমি ওয়ান-এলিভেনের পর থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত, মাঠে সক্রিয় থেকেছি বলেই আজকের জায়গায় এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সমর্থনে মেম্বার হইনি। আমার বংশীয় জনপ্রিয়তায় সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আর বিএনপির রাজনীতিতে আমার অবস্থান আগে থেকেই ছিল।

কমিটি গঠনে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়ার যোগাযোগ করতে পারিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত