
এসএম আরিফুল হাসান, শিবপুর (নরসিংদী)

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় নরসিংদীর শিবপুর বিসিকে তিন বছরেও গড়ে ওঠেনি শিল্প-কারখানা। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সৈয়দনগরে গড়ে তোলা ‘নরসিংদীর সম্প্রসারণকৃত বিসিক’ এখন অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপের স্থানে পরিণত হয়েছে। গেটে নেই কোনো পাহারাদার। গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কারখানা।
ফলে বিসিকের বৃহৎ এই ফাঁকা মাঠ এখন কাশফুল, আগাছা ও জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। আর এই কাশফুল দেখতে এসে যুবক-যুবতী, প্রেমিকযুগল ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। অপরদিকে চোর, ডাকাত, জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে এটি।
জানা যায়, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে গড়ে তোলা হয়েছে নরসিংদীর শিল্পনগরী বিসিক। প্রায় ৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় এই নতুন বিসিক। এতে মোট ১৫৭টি প্লট রয়েছে এবং সব প্লটই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে এই বিসিকের কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালে এর কাজ শেষ হয়, যার মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫৭টি প্লটের মধ্যে মাত্র দুটি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে এই দুটি কারখানার লোকজনও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয়ভাবে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলাসহ বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে—সেই আশা নিয়েই এই বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার তিন বছরেও শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠায় জনমনে হতাশা বিরাজ করছে। সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশাল বিসিক গড়ে তুলেছে, তার কোনো সুফল ভোগ করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ফলে এলাকাবাসীর মনে একপ্রকারের ক্ষোভও বিরাজ করছে।
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানান, শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে অবস্থিত সম্প্রসারণকৃত বিসিকের সব প্লট বরাদ্দ দেওয়া আছে। শিল্পোদ্যোক্তারা কল-কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী আছেন। কিন্তু এখনো গ্যাস সংযোগ না হওয়ায় কল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই।
কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগের জন্য সরকারিভাবে (জিটুজি) তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ১১ কোটি টাকাও দিয়েছে; কিন্তু তারা গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না। আবার বিদ্যুতের জন্যও প্রয়োজনীয় আবেদন করা আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগও হচ্ছে না। ফলে গ্যাস আর বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ না হওয়ায় কল-কারখানা গড়ে উঠছে না। এছাড়া বিসিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল-সংকট রয়েছে। জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন তারা।
বিসিক নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গ্যাস ও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় উদ্যোক্তারা শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে পারছেন না। আমরা গ্যাসের জন্য ১১ কোটি টাকাও কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। গ্যাসের জন্য আলাদা প্লটও রয়েছে, কিন্তু গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন না। অন্যদিকে বিদ্যুতের জন্যও আবেদন করা আছে, বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। আর জনবলের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেওয়া আছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব সমস্যা সমাধান করতে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিসিক কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় করে না। ফলে কী কারণে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে না, তা আমি অবগত নই। এখানে বহিরাগতের আসা-যাওয়া নিয়ে এলাকার লোকজন প্রায়ই ফোন করেন। কিন্তু বিসিক কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া না দেওয়ায় মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করতে পারি না।’

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় নরসিংদীর শিবপুর বিসিকে তিন বছরেও গড়ে ওঠেনি শিল্প-কারখানা। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সৈয়দনগরে গড়ে তোলা ‘নরসিংদীর সম্প্রসারণকৃত বিসিক’ এখন অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপের স্থানে পরিণত হয়েছে। গেটে নেই কোনো পাহারাদার। গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কারখানা।
ফলে বিসিকের বৃহৎ এই ফাঁকা মাঠ এখন কাশফুল, আগাছা ও জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। আর এই কাশফুল দেখতে এসে যুবক-যুবতী, প্রেমিকযুগল ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। অপরদিকে চোর, ডাকাত, জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে এটি।
জানা যায়, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে গড়ে তোলা হয়েছে নরসিংদীর শিল্পনগরী বিসিক। প্রায় ৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় এই নতুন বিসিক। এতে মোট ১৫৭টি প্লট রয়েছে এবং সব প্লটই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে এই বিসিকের কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালে এর কাজ শেষ হয়, যার মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫৭টি প্লটের মধ্যে মাত্র দুটি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে এই দুটি কারখানার লোকজনও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয়ভাবে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলাসহ বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে—সেই আশা নিয়েই এই বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার তিন বছরেও শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠায় জনমনে হতাশা বিরাজ করছে। সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশাল বিসিক গড়ে তুলেছে, তার কোনো সুফল ভোগ করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ফলে এলাকাবাসীর মনে একপ্রকারের ক্ষোভও বিরাজ করছে।
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানান, শিবপুর উপজেলার সৈয়দ নগরে অবস্থিত সম্প্রসারণকৃত বিসিকের সব প্লট বরাদ্দ দেওয়া আছে। শিল্পোদ্যোক্তারা কল-কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী আছেন। কিন্তু এখনো গ্যাস সংযোগ না হওয়ায় কল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই।
কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগের জন্য সরকারিভাবে (জিটুজি) তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ১১ কোটি টাকাও দিয়েছে; কিন্তু তারা গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না। আবার বিদ্যুতের জন্যও প্রয়োজনীয় আবেদন করা আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগও হচ্ছে না। ফলে গ্যাস আর বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ না হওয়ায় কল-কারখানা গড়ে উঠছে না। এছাড়া বিসিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল-সংকট রয়েছে। জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন তারা।
বিসিক নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গ্যাস ও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় উদ্যোক্তারা শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে পারছেন না। আমরা গ্যাসের জন্য ১১ কোটি টাকাও কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। গ্যাসের জন্য আলাদা প্লটও রয়েছে, কিন্তু গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন না। অন্যদিকে বিদ্যুতের জন্যও আবেদন করা আছে, বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। আর জনবলের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেওয়া আছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব সমস্যা সমাধান করতে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিসিক কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় করে না। ফলে কী কারণে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে না, তা আমি অবগত নই। এখানে বহিরাগতের আসা-যাওয়া নিয়ে এলাকার লোকজন প্রায়ই ফোন করেন। কিন্তু বিসিক কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া না দেওয়ায় মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করতে পারি না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের দিয়ে প্রেস ক্লাব গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আকাশ এবং পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসুফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
রোববার ভোর ৪টা থেকেই পাবনার ঈশ্বরদী, আমিনপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নদীচর এলাকায় এ অভিযানের শুরু হয়। এখন পর্যন্ত চলছে সাঁড়াশি অভিযান।
৩৮ মিনিট আগে
জায়েদ প্যাদা তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, “অনেক দিন পর আবার রাজপথে।” একই ভিডিও উপজেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৪ নম্বর সোনাসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে যতদূর চোখ যায়— থই থই পানি। শতবর্ষী বিদ্যালয়টি যেন জলমগ্ন জনপদের নিঃসঙ্গ এক প্রহরী। চারদিকের পানিবন্দি অবস্থার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ যেন চিরচেনা বাস্তবতা। স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়—‘না চলে নাও, না চলে পাও
১ ঘণ্টা আগে