জহুরুল ইসলাম হালিম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
এক সময়ের নিঃস্ব যুবক থেকে আজকের মাছ ব্যবসার এক উজ্জ্বল তারকা সম্রাট শাহজাহান শেখ। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের মানুষ আজ গর্ব করেই বলেন, এই ঘাটে যদি কারও হাত ধরে বদল আসে, সে নাম একটাই সম্রাট শাহজাহান।
২০০০ সালের কথা। হাতে একটিও টাকা নেই, পেছনে নেই কোনো পুঁজি কিংবা বড়লোক বাবার সহায়তা। ছিল শুধু একটি বিশ্বাস সততা আর কঠোর পরিশ্রম দিয়েই গড়া যায় ভাগ্য।
সেই বিশ্বাসকে শক্তি করে শাহজাহান শেখ নামে যান দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটে। কাজ শুরু করেন এ-ফেরি ও-ফেরি ঘুরে মাছ বিক্রি করা। তখন দৌলতদিয়ার মাছ বাজারে ছিল নানা নেতিবাচক সুনাম! পচা মাছ, কম ওজন, খদ্দের ঠকানো যেন ছিল রুটিন কাজ।
তবে শাহজাহান স্রোতের বিপরীতে হাঁটার সাহস করেছিলেন। শুরু থেকেই তিনি আপসহীন ছিলেন গুণগত মান আর গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়ে। অন্যদের যখন লক্ষ্য ছিল ‘আজকের লাভ’, তখন তার লক্ষ্য ছিল ‘ভবিষ্যতের বিশ্বাস’। এই একাগ্রতার ফলেই ধীরে ধীরে মানুষ খুঁজে নিতে শুরু করে তার বিক্রি করা মাছ।
সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে দৌলতদিয়ার ঘাটের চিত্র। এখন পদ্মার ইলিশ, বোয়াল, কাতল, পাঙাশ, রুই, চিতল কিংবা বাগাইড় যার নামই বলেন না কেন, সবাই বলে, ‘=এটা কি সম্রাট শাহজাহানের দোকানের মাছ? শুধু বড় মাছেই নয়, তিনি সমান দক্ষতা ও মনোযোগ দিয়ে বিক্রি করেন কাজলি, চিংড়ি, বাচা, বেলে, আইড়, টেংরা, চাঁদা, শিং-মাগুরসহ নানান ছোট মাছও।
তার ব্যবসা আর পাঁচজনের মতো নয় তাতে আছে পেশাদারিত্ব, পরিচ্ছন্নতা এবং আধুনিক ভাবনা। মাছের প্রতিটি ওজন হয় স্বচ্ছ ডিজিটাল মেশিনে, দাম নির্ধারিত হয় বাজারদর অনুযায়ী, আর মাছ সংগ্রহে থাকে নির্ভরযোগ্যতা।
বর্তমান যুগে ব্যবসায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। বিষয়টি খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন সম্রাট শাহজাহান। তাই নিজের মাছ ব্যবসায় এনেছেন ডিজিটাল রূপান্তর। অনলাইনের মাধ্যমে এখন তিনি দেশের যেকোনো প্রান্তে টাটকা পদ্মার মাছ পৌঁছে দিচ্ছেন। ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার কিংবা ফোন কল সব মাধ্যমেই নেওয়া যাচ্ছে অর্ডার।
বছরের বিশেষ সময়ে, যেমন ইলিশ মৌসুমে কিংবা ঈদ-পূজা উপলক্ষে, আগাম বুকিংয়ের সুযোগও রেখেছেন। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে চালু করেছেন ‘প্রাক-চেক’ ব্যবস্থা, অর্থাৎ মাছ কেনার আগে কাস্টমার ভিডিও কলে দেখে নিতে পারেন মাছের ওজন, মান ও অবস্থা।
২৫ বছরের দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম, সততা আর দৃঢ়তার পর আজ সম্রাট শাহজাহান শেখ শুধু একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী নন, তিনি দৌলতদিয়ার ইতিহাসের অংশ। তার মতো সংগ্রামী চরিত্র এখনো তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন দেখায় কীভাবে শূন্য পকেট থেকেও গড়া যায় সফলতার সিঁড়ি।
তিনি প্রমাণ করেছেন, ব্যবসা মানেই শুধু মুনাফা নয়, বরং মানুষের আস্থা অর্জনই আসল অর্জন।
দেখতে সাধারণ এক ব্যক্তি হলেও, তার গল্প অসাধারণ। পকেটে কিছু না নিয়েও শুরু করা সেই মানুষটি আজ ‘পদ্মার সম্রাট’ একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা, একজন সৎ ও সংগ্রামী উদ্যোক্তা, যার পথচলা বলে দেয়, ‘ইচ্ছা থাকলে, সৎ পথে হেঁটেও জয় করা যায় সাফল্যের শিখর।
এক সময়ের নিঃস্ব যুবক থেকে আজকের মাছ ব্যবসার এক উজ্জ্বল তারকা সম্রাট শাহজাহান শেখ। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের মানুষ আজ গর্ব করেই বলেন, এই ঘাটে যদি কারও হাত ধরে বদল আসে, সে নাম একটাই সম্রাট শাহজাহান।
২০০০ সালের কথা। হাতে একটিও টাকা নেই, পেছনে নেই কোনো পুঁজি কিংবা বড়লোক বাবার সহায়তা। ছিল শুধু একটি বিশ্বাস সততা আর কঠোর পরিশ্রম দিয়েই গড়া যায় ভাগ্য।
সেই বিশ্বাসকে শক্তি করে শাহজাহান শেখ নামে যান দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটে। কাজ শুরু করেন এ-ফেরি ও-ফেরি ঘুরে মাছ বিক্রি করা। তখন দৌলতদিয়ার মাছ বাজারে ছিল নানা নেতিবাচক সুনাম! পচা মাছ, কম ওজন, খদ্দের ঠকানো যেন ছিল রুটিন কাজ।
তবে শাহজাহান স্রোতের বিপরীতে হাঁটার সাহস করেছিলেন। শুরু থেকেই তিনি আপসহীন ছিলেন গুণগত মান আর গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়ে। অন্যদের যখন লক্ষ্য ছিল ‘আজকের লাভ’, তখন তার লক্ষ্য ছিল ‘ভবিষ্যতের বিশ্বাস’। এই একাগ্রতার ফলেই ধীরে ধীরে মানুষ খুঁজে নিতে শুরু করে তার বিক্রি করা মাছ।
সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে দৌলতদিয়ার ঘাটের চিত্র। এখন পদ্মার ইলিশ, বোয়াল, কাতল, পাঙাশ, রুই, চিতল কিংবা বাগাইড় যার নামই বলেন না কেন, সবাই বলে, ‘=এটা কি সম্রাট শাহজাহানের দোকানের মাছ? শুধু বড় মাছেই নয়, তিনি সমান দক্ষতা ও মনোযোগ দিয়ে বিক্রি করেন কাজলি, চিংড়ি, বাচা, বেলে, আইড়, টেংরা, চাঁদা, শিং-মাগুরসহ নানান ছোট মাছও।
তার ব্যবসা আর পাঁচজনের মতো নয় তাতে আছে পেশাদারিত্ব, পরিচ্ছন্নতা এবং আধুনিক ভাবনা। মাছের প্রতিটি ওজন হয় স্বচ্ছ ডিজিটাল মেশিনে, দাম নির্ধারিত হয় বাজারদর অনুযায়ী, আর মাছ সংগ্রহে থাকে নির্ভরযোগ্যতা।
বর্তমান যুগে ব্যবসায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। বিষয়টি খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন সম্রাট শাহজাহান। তাই নিজের মাছ ব্যবসায় এনেছেন ডিজিটাল রূপান্তর। অনলাইনের মাধ্যমে এখন তিনি দেশের যেকোনো প্রান্তে টাটকা পদ্মার মাছ পৌঁছে দিচ্ছেন। ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার কিংবা ফোন কল সব মাধ্যমেই নেওয়া যাচ্ছে অর্ডার।
বছরের বিশেষ সময়ে, যেমন ইলিশ মৌসুমে কিংবা ঈদ-পূজা উপলক্ষে, আগাম বুকিংয়ের সুযোগও রেখেছেন। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে চালু করেছেন ‘প্রাক-চেক’ ব্যবস্থা, অর্থাৎ মাছ কেনার আগে কাস্টমার ভিডিও কলে দেখে নিতে পারেন মাছের ওজন, মান ও অবস্থা।
২৫ বছরের দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম, সততা আর দৃঢ়তার পর আজ সম্রাট শাহজাহান শেখ শুধু একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী নন, তিনি দৌলতদিয়ার ইতিহাসের অংশ। তার মতো সংগ্রামী চরিত্র এখনো তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন দেখায় কীভাবে শূন্য পকেট থেকেও গড়া যায় সফলতার সিঁড়ি।
তিনি প্রমাণ করেছেন, ব্যবসা মানেই শুধু মুনাফা নয়, বরং মানুষের আস্থা অর্জনই আসল অর্জন।
দেখতে সাধারণ এক ব্যক্তি হলেও, তার গল্প অসাধারণ। পকেটে কিছু না নিয়েও শুরু করা সেই মানুষটি আজ ‘পদ্মার সম্রাট’ একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা, একজন সৎ ও সংগ্রামী উদ্যোক্তা, যার পথচলা বলে দেয়, ‘ইচ্ছা থাকলে, সৎ পথে হেঁটেও জয় করা যায় সাফল্যের শিখর।
মাহি উপজেলার পরৈকৌড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ভিংরোল ইয়াসিন সওদাগরের বাড়ির প্রবাসী মনসুর উদ্দিনের বড় মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
১২ মিনিট আগেকুমিল্লা রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৪ নম্বর লাইনে প্রবেশ করার সময় ১০টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
২৪ মিনিট আগেএদিকে কক্সবাজারে জুলাই পদযাত্রা শেষে এনসিপির নেতাকর্মীরা আর চকরিয়ায় যাননি। তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রহরায় চলে গেছেন বান্দরবানে।
৩২ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পুলিশের আইনশৃঙ্খলা সভায় অতিথির আসনে বসে বক্তব্য দিয়েছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় এক সভায় বসে আছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম, আরেক সভায় বসে আছেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক বাবলু পাল।
১ ঘণ্টা আগে