রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশের ওপর হামলা হলে অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। সংঘর্ষে দরবারের অনুসারী রাশেল মোল্লা (২৮) নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১২টার পর থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ২৩ আগস্ট ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরাল পাগলা। পরে তাকে দরবার প্রাঙ্গণে ১২ ফুট উঁচু বেদিতে কবর দেয়া হয়। কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে তৈরি করা হয়। বিষয়টি ঘিরে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় আলেম-ওলামারা কবর নিচু করা ও ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী দাফনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বর্তমানে গোয়ালন্দে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

