স্ত্রী ও দুই কন্যা হত্যার দায়ে বাবুর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৭

যশোরে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নামে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিপি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদরের জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামে জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি (৩২) এবং দুই কন্যা সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবু। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর লাশগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বীথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বীথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে বীথিকে মারধর করতেন বাবু। এক পর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বীথিকে। বাড়িতে নেয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও উঠে আসে একই তথ্য।

এক পর্যায়ে অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রায়ের বিষয়ে পিপি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডে আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুর মৃত্যুদণ্ডের রায় যথার্থ হয়েছে। বাবু মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত